করলা, ওরে বাবা; রোগবালাই ১০০ হাত দূরে
করলা। এ সবজিটার নামটা শোনেননি বা খাননি এমন ব্যক্তি কমই পাওয়া যাবে। তবে স্বাদটা অতিমাত্রার তেতো বলে অনেকেই এর স্বাদ কমই নেন।
করলা অনেকভাবেই খাওয়া হয়। এমনকি অনেকে জুস করেও খেয়ে থাকেন। অপ্রিয় স্বাদের এই করলার রয়েছে অসাধারণ পুষ্টি গুণ। এতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন-এ, সি ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন-বি।
নিয়মিত এ সবজি খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করলে অধিকাংশ রোগবালাই থাকবে আপনার থেকে একশত হাত দূরে।
করলার কিছু স্বাস্থ্যগুণ-
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ব্লাডে গ্লুকোজ লোয়ারিং ইফেক্টের দ্বারা করলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এন্টি ডায়াবেটিক গুণে সমৃদ্ধ তিন ধরনের একটিভ সাবসটেন্ট রয়েছে।
* কোলেস্টেরল কমায়
এই অসাধারণ সবজিটি দেহের লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্টের রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
* ওজন কমাতে সাহায্য করে
করলা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এন্টি অক্সিডেন্টের বড় উৎস, যা দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সক্ষম। এই সবজি কার্বোহাইড্রেটের মেটাবোলিজমকে আরও দ্রুততর করে, বিধায় দেহে কম ফ্যাট জমা হয়।
* রক্ত পরিষ্কার করে
করলা প্রাকৃতিক রক্ত পরিষ্কারকের কাজ করে। রক্তের কারণে অনেক সময় অনবরত মাথা ব্যথা, এলার্জি, ক্লান্তি বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস হয়। রক্তের ইম্পিওরিটিসকে করলা পরিষ্কার অথবা ডিটক্সিফাইং করতে সাহায্য করে। নিয়মিত করলা গ্রহণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়।
* লিভারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে
হেপাটিক গুণে সমৃদ্ধ করলা লিভারের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে উপকারী ভূমিকা পালন করে। লিভারের ছাঁকন ক্রিয়ায় সহায়তা করে এটি রক্তের অপদ্রব্য পরিষ্কার করে এবং লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূরীকরণ করে। আর স্বাভাবিকভাবে ক্রিয়ারত লিভার মেদবৃদ্ধির ঝুঁকি কমায়, কার্ডিওভাস্কুলারের রোগবালাই কমায়, পরিপাক সমস্যা, মাথা ব্যথা এবং অন্যান্য অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
নিয়মিত করলা খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই যে কোনো ধরনের রোগবালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
* ক্যান্সার প্রতিরোধে
করলা ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্ষম। যে ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজের কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়, তার বিরুদ্ধে এর মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট কাজ করে।
* অভ্যন্তরীণ কৃমিনাশক
করলাতে থাকা এন্থেলমিন্টিক কম্পাউন্ডস দেহের অভ্যন্তরীণ কৃমি থেকে রক্ষা করে।