পানি পান করুন ভালো থাকুন
কাজের চাপ, অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ ও প্রসাধনীর ব্যবহারে প্রভাবে পড়ে ত্বক ও চুলে। এ ছাড়া বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে ওজনও বাড়ে। এসব থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে পানি পান। এর জন্য বয়স অনুযায়ী সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
ত্বকের যত্নে
ত্বক উজ্জ্বল করতে পানির বিকল্প নেই। এই ক্লান্তি কাটিয়ে নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। তা ছাড়া বারবার ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ক্লিনজারের কাজ করবে।
ওজন কমাতে
অনেকেরই বিশ্বাস হবে না, ওজন কমাতে পানি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশির ভাগ সময় মানুষ যখন অনুভব করে সে ক্ষুধার্ত, আসলে তখন সে তৃষ্ণার্ত থাকে। এক গ্লাস পানি পান করে নিলেই আর ক্ষুধাবোধ থাকে না। অযথা খাবার খাওয়া থেকে বাঁচায়। যারা বারবার পানি পান করে, তাদের নানা রকম জাংক পানীয় খাওয়ার তৃষ্ণা থাকে না।
ঝলমলে চুলের জন্য
ত্বকের মতো চুলও প্রাকৃতিকভাবে নরম ও মসৃণ করে তোলার জন্য বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। যাদের চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর, তারা যে পরিমাণ পানি পান করে, তার চেয়ে পাঁচ গ্লাস পানি বাড়িয়ে দিলে এক সপ্তাহেই পার্থক্য টের পাওয়া যাবে।
স্কিন টোনিংয়ে
ত্বকের লাবণ্য ও টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য বেশি পানি পান করতে হবে। যাদের দেহকোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকে, তাদের ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
এমনকি চামড়া ঝুলে যাওয়া এবং ব্রণ কমাতেও সাহায্য করে পানি।
শারীরিক সুস্থতায়
বেশি বেশি পানি পানে রক্তের তারল্য বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে রক্তপ্রবাহের গতি বেড়ে যায়। বডিসেল পুনর্গঠনেও সহায়তা করে,
বিশেষ করে যাদের রক্তচাপ ও হৃদরোগের সমস্যা আছে, চিকিৎসকরা তাদের বেশি করে পানি পান করতে বলেন। কারণ পানি বা পানিজাতীয় খাবার এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে রীতিমতো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।