পাটশাক খান, ক্যান্সারকে জাদুঘরে পাঠান
শাক হিসেবে পাটশাক শুধু মুখরোচকই নয়। পাটশাকে রয়েছে বিস্ময়কর পুষ্টিগুণ। সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, পাটের পাতায় ক্যান্সার রোধক এমন পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা রীতিমতো বিস্ময়কর। নিয়মিত পাটশাক খেলে শরীরে ক্যান্সারের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া অসম্ভব। রোগ হিসেবে ক্যান্সারকে রাখতে হবে জাদুঘরে।
পাটশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যালকালয়েড, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, লিপিড, কার্বোহাইড্রেট ও ফলিক অ্যাসিড। পাটশাকে ক্যারোটিন তথা ভিটামিন এ-ও থাকে অনেক বেশি।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাটশাকে রয়েছে:
খাদ্যশক্তি ৭৩ ক্যালরি
আমিষ ৩.৬ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ২৯৮ মিলিগ্রাম
লৌহ ১১ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন ৬৪০০ আইইউ
যা ক্যান্সার প্রতিরোধে পাটশাক জাদুর মতো কাজ করে। পাটপাতায় টিউমার রোধক পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। এ ছাড়াও পাটশাক ৯টি কাজ করে।
>পাটশাক রুচি বাড়ায়, মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে।
>এতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে।
>রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে লড়ারও ক্ষমতা আছে পাটশাকে।
>কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পাটশাক খেতে পারেন।
>যাদের বাতের ব্যথা আছে, তাদের জন্য এটি উপকারী।
>গ্যাস্ট্রিকের বিস্ময়কর সমাধান পাটশাক।
>রক্ত পরিষ্কারক হিসেবেও পাটশাক উল্লেখযোগ্য।
>হাড় ভালো রাখার জন্যও খেতে পারেন।
>দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।