যৌনক্রিয়া থেকে মন উঠে যাওয়া
সামান্য বাতকর্ম বা প্রকৃতির ডাক অথবা সঠিক সময়ে সঙ্গীর ডাকে সাড়া দিতে না পারার মতো ঘটনা অহরহই ঘটে, এ ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে যৌনক্রিয়া থেকে মনও উঠে যায়।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে এরকম পরিস্থিতিতে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
* বাতকর্ম একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতো যৌন ক্রিয়ার ফলে অনেক সময় পেটে গ্যাস জমে যা বের হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এটা সবারই হয়। সামান্য এই বিষয়ে বিব্রত হয়ে নিজেদের সুন্দর মুহূর্ত নষ্ট করা ঠিক না। যদি এহেন ঘটনা ঘটেও যায় ছোট্ট করে দুঃখ প্রকাশ করে বা একটা হাসি দিয়ে ঘটনা শেষ করে দিলেও হয়।
*দুজন মানুষের চূড়ান্ত যৌন আনন্দের মুহূর্ত একই সময়ে নাও আসতে পারে। সাধারণত পুরুষ এবং নারীদের চূড়ান্ত মুহূর্ত পৌঁছানোর সময় আলাদা থাকে। একজন যদি চূড়ান্ত মুহূর্তে উপনীত হয়ে যায় তারপর সে উত্তেজনা হারিয়ে ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এরকম পরিস্থিতে যদি সঙ্গীকে সঙ্গ দিতে না পারা যায় তবে সঙ্গী আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। এটা খুবই স্বার্থপরের মতো আচরণ। তাই কখনও যদি সঙ্গীর আগে চূড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছে যাওয়া হয়, উচিত সঙ্গী চূড়ান্ত মুহূর্তে না পৌঁছানো পর্যন্ত সঙ্গ দিয়ে যাওয়া এবং সঙ্গীকে বুঝতে না দেওয়া।
* যৌন উত্তেজনার চরম অবস্থায় অনেকেরই প্রস্রাবের বেগ চলে আসে। প্রস্রাবের এই বেগ নিঃসন্দেহে যৌন উত্তেজনার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। তবে ‘সেক্স বিশেষজ্ঞ’দের মতে যৌন উত্তেজনায় প্রস্রাবের বেগ আসা অস্বাভাবিক কিছুই না। কেউ কেউ আবার ‘অর্গাজম’কেই প্রস্রাবের বেগ ভেবে ভুল করে। এই সব সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সেক্স করার আগে একবারে পেট পরিষ্কার করে আসা।
*অনেক সময়ই ‘ইন্টারকোর্স’ কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। বোঝার আগেই সব শেষ হয়ে গেলে উপভোগ করা সম্ভব হয় না। প্রতিটি পুরুষই তাঁর জীবনে কোনো না কোনো সময় অকাল বীর্যপাতের সমস্যায় পড়েন। এটা খুবই স্বাভাবিক যদি না এটা খুব ঘন ঘন ঘটে। দুএকবার এরকম হয়ে গেলে হতাশ না হয়ে অন্য উপায়ে সময়টাকে সুন্দর করে ফেলা সম্ভব।
*অনেক সময় সারাদিনের কাজে এতই ক্লান্তি এসে ভর করে যে সেক্স করার মতো ইচ্ছা করে না। এমন একটা সময়ে শুধু সঙ্গীকে খুশি করার জন্য সেক্স করা ঠিক না। এক সময়ে এটা ঠিকই সঙ্গীর সামনে চলে আসবে যে, জোর করে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যখন ক্লান্তি ভর করে তখন সেক্স না করে ঘুমানোই উত্তম। খুব বেশি হলে সামান্য আদর, খুনসুটি চলতে পারে। এতে দুই পক্ষই সন্তুষ্ট হওয়া সম্ভব হবে।