অতিরিক্ত ঘুম বন্ধ্যাত্ব বা পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ
হঠাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হলে ঘুম কমাতে হবে। শুধু তাই নয় বেশি ঘুম বন্ধ্যাত্ব বা পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ, কী শুনে অবাক হচ্ছেন তাই না! কিন্তু বিশেষজ্ঞরা একাধিক গবেষণায় এমন প্রমাণই পেয়েছেন।
দিনে কতক্ষণ ঘুমালে শরীর সুস্থ থাকবে, সেটা অনেকেরই জানা নেই। তাই ইচ্ছা মতো কেউ ৬ ঘণ্টা ঘুমিয়ে লেগে পড়েন দৈনন্দিন কাজে, আর কারও কারও তো ১০-১২ ঘণ্টার আগে ঘুম ভাঙতেই চায় না। এই দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু শরীর ভাঙতে শুরু করে। দেখা দেয় পুরুষত্বহীনতা ও বন্ধ্যাত্ব, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
একাধিক গবেষণায় ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে, দৈনিক ৭ ঘণ্টা ঘুমালে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এর থেকে কম বা বেশি ঘুমলেই কিন্তু বিপদ!
ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক নথি অনুসারে প্রাপ্ত বয়স্কদের দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। এর থেকে বেশি ঘুমালে শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করবে নানা মারণ রোগ। ফলে আপনার আয়ু লাফিয়ে লাফিয়ে কমতে শুরু করবে। তাই তো দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচতে ৭ ঘণ্টার বেশি না ঘুমনোই ভালো।
অন্যদিকে কম ঘুমনোও কিন্তু শরীরে পক্ষে ভাল নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে দিনে ৫ ঘণ্টার কম ঘুমালেও শরীর খারাপ হতে শুরু করে।আর বেশিক্ষণ ঘুমালে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। সেই সঙ্গে ফার্টিলিটিও হ্রাস পায়। পুরুষত্বহীনতা বা বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। এছাড়া বাবা-মা হওয়ার পথে বাঁধার সৃষ্টি হয়।
এছাড়া ৫ ঘণ্টার কম এবং ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে শরীরে মেদ জমার হার বেড়ে যায়। ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের কারণে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বৃদ্ধি পায়।
শুধু তাই নয়, ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বাড়ে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিক্ষণ ঘুমালেই শরীরে শর্করা সম্পর্কিত ইনটলারেন্স তৈরি হয়। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বাড়ে। তাই বেশিক্ষণ ঘুমানোর অভ্যাস থেকেও নিজেদের দূরে রাখা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন গবেষকরা।