বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শরীরের সমস্যাগুলোও। শরীরকে সুস্থ এবং সচল রাখতে শরীরচর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সব বয়সী মানুষেরই। কিন্তু এই প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়ে যায় বার্ধক্যে পা দিলে।

স্যাক্রোপেনিয়া হল পেশি ক্ষয়কারী এক সমস্যা, যা মূলত শুরু হয় ত্রিশের পর থেকেই। কিন্তু যাদের নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস নেই, বছরের পর বছর বসে কাজ করে আসছেন, তাদের ঝুঁকি বেড়ে যায় আরও বেশি।

ব্যায়াম করা একজন মানুষের যেখানে ৭৫ বছর বয়সের পর পেশি দুর্বল হতে শুরু করে, সেখানে ব্যায়াম না করা ব্যক্তির ভোগান্তি শুরু হয় ৬৫ থেকে।

দুঃখের বিষয় হলো- স্যাক্রোপেনিয়া বার্ধক্যের একটি সাধারণ প্রক্রিয়া যা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অনেকটা চুলে পাক ধরা কিংবা মুখে ভাঁজ পড়ার মতো। তবে নিয়মিত ব্যায়াম করে স্যাক্রোপেনিয়ার আগমনের গতি অনেকটাই ধীর করা সম্ভব।

বুড়ো বয়সে ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা: বার্ধক্যে পা রাখার পর প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের হাড়ের শক্তি কমতে থাকে। এ সময় নিজের শরীরের ভর ধরে রাখতে এবং পড়ে যাওয়ার মত দুর্ঘটনা থেকে দূরে থাকতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে ব্যায়াম। পাশাপাশি অন্যের ওপর নির্ভরশীলতাও কমে যায় অনেকটাই, নিজের পছন্দের কাজগুলো নিজেই করার স্বাধীনতা পাওয়া যায়।

শরীর চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব শুধু হাড়ের ওপরই বর্তায় না, পেশিও এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের পেশিকে সচল রাখে, ফলে বয়স বাড়লেও হাঁটতে কিংবা দৌড়াতে সমস্যা হয় না।

বার্ধক্যে পৌঁছালে বেশীরভাগ মানুষই কর্মক্ষমতা হারান, বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠেন অনেকের জন্যেই। এমন সময় আপনার পেশির সচলতা আপনাকে দিতে পারে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা। বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়ে এক কাপ চা খাওয়া, একটু হেঁটে আসা, বাজার করা—সব কিছুই করা যায় কারো সাহায্য ছাড়া।

কী ধরনের ব্যায়াম করবেন বয়স্করাকম বয়সীদের মত দৌড়ঝাঁপের ব্যায়াম কিন্তু বয়স্কদের জন্য মোটেও সঠিক নয়। বরং ধীরে সুস্থে পেশি এবং হাড়মজ্জাকে সচল রাখার চেষ্টা করাই হবে মূল উদ্দেশ্য।

বয়স্কদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্ট্রেচ (পেশি টানটান করা), বসে এবং দাঁড়িয়ে করার মতো ব্যায়াম। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সঠিক ব্যায়ামটি করলে দীর্ঘদিন থাকা যাবে সচল।