সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। একেক খাবার শরীরের একেক চাহিদা পূরণ করে। এজন্য খাবারের

পুষ্টিগুণের পাশাপাশি কোন খাবার কখন খেলে উপকার পাওয়া যায় বেশি, তাও জানা উচিত। কেননা অনেক পুষ্টিকর খাবার সঠিক সময়ে না খেলে ভালোর বদলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।জেনে নিন এমনই কিছু খাবার সর্ম্পকে-১। ডালরাতে বিনজাতীয় খাবার বা ডাল খাওয়া ভালো। কারণ এটি হজমশক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। এমনকি এটি রাতে ভালো ঘুমাতেও সাহায্য করে থাকে। তাই এসব খাবার রাতে গ্রহণ করলে খাওয়ার রুচিও বাড়ে।২। টক দইওজন কমানোর জন্য অনেকেই টক দই খেয়ে থাকেন। টক দই খাওয়ার সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকর সময় হল দিনে। এটি খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। টক দই খাওয়ার সবচেয়ে খারাপ সময় হল রাত। রাতে খেলে এটি সর্দি কাশি সৃষ্টি করে শ্বাস নালীর উপর প্রভাব ফেলে।৩। চিনিসকালে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এটি সারাদিনের কাজের শক্তি দিবে। রাতে চিনি অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার শরীরে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। এমনকি হজমেও বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।৪। কলাসকালে অথবা বিকেলে কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅ্যাসিড বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে। রাতে এটি শ্বাসনালীতে প্রভাব ফেলে ঠাণ্ডা কাশি সৃষ্টি করতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকায় রাতে খেলে পাকস্থলিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।৫। চিজপ্রোটিনের অনেক ভালো একটি উৎস হলো চিজ। সকালের নাস্তায় চিজ বা পনির রাখুন। এটি সারাদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে দিবে। রাতে চিজ খেলে সহজে হজম হতে চায় না। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।৬। আপেলপুষ্টিকর এই ফলটি খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো দিনের বেলা। এতে পেকটিন নামক উপাদান রয়েছে যা অন্ত্রের কার্যকলাপ সহজ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। সন্ধ্যা অথবা রাতে আপেল খাওয়া উচিত নয়। এটি পাকস্থলীতে গ্যাস সৃষ্টি করে থাকে।৭। মাংসমাংস প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস। কিন্তু মাংস বিশেষ করে রেড মিট সহজে হজম হতে চায় না। তাই মাংস রাতের চেয়ে দিনে খাওয়া ভালো।