সামি ওয়ালটন (২৯)। তীব্র শারীরিক সম্পর্কের আসক্তি তার। এ জন্য বন্ধু ও নতুন কোন পুরুষের সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হতে তিনি মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়েছেন। তার পর তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এমনকি দিনে ১০ বার এমন সম্পর্কে আসক্ত হয়ে পড়েন ২৯ বছর বয়সী এই যুবতী। তার এই অস্বাভাবিক যৌন আসক্তির কারণে এরই মধ্যে হারিয়েছেন একটি চাকরি।

আবার অনেক বন্ধু ভয়ে সরে গেছে দূরে। তাই তিনি শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য এ পর্যন্ত কিনেছেন ১৫০০ পাউন্ডের কৃত্রিম অঙ্গ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম। যাকে বলা হয়, সেক্স টয়। সামি ওয়ালটনের মধ্যে এই যৌন আসক্তি সৃষ্টি হয়েছে কোন মাদক বা এলকোহল পানের কারণে নয়, এমনিতেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার জীবনে এসেছেন ৩৮ বছর বয়সী টগবগে এক পুরুষ।

যার নাম জেমস কিটস। আস্তে আস্তে সামি ওয়ালটনের ভিতর থেকে তীব্র যৌন আসক্তি কমে এসেছে। তিনি নিজেই বলেছেন, এত বেশি যৌন আসক্তি যে নারীর থাকে পুরুষরা তাকে পছন্দ করেন। কিন্তু বাস্তবে এর ফল অন্য। তার ভাষায়, আগে যেসব প্রেমিকের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল তারা তার চাহিদাকে যথার্থভাবে পূরণ করতে পারতো না। এমন সময় তার জীবনে এসেছেন জেমস কিটস। তার সম্পর্কে সামি ওয়ালটনের মন্তব্য, আমি সৌভাগ্যবর্তী যে জেমসের মতো একজন পুরুষ আমার জীবনে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে শারীরিক উদ্দামতা। সে আমার জন্য যথার্থ। আমাকে সাপোর্ট দেয়।

আমি কি চাই, কেন চাই তার বিচার করে না সে। কখনো যদি জেমস ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তার শরীর অসুস্থ হয় তখন কৃত্রিম ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সামি ওয়ালটন। তার মাঝে এই যৌন আসক্তি সৃষ্টি হয় যুবতী বয়সে, বিশ বছর বয়স পাড় করার পর। দীর্ঘদিন তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এক প্রেমিকের। সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরই মুলত তিনি যৌন আসক্ত হয়ে পড়েন। নিজের শরীরের চাহিদা মেটাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়াতে থাকেন। পুরুষ বা নারী উভয়ে তার আসক্তি।

এমন আসক্তি পূরণ করতে গিয়ে গিনি হারিয়েছেন চাকরি। নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। নিয়মিত বিভিন্ন প্রেমিক ও নতুন পরিচিত কোন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন শুরু করেন। সামি ওয়ালটন বলেন, ২০১০ সালে তার জীবনের এই ধারায় পরিবর্তন আসে। ওই সময় তিনি বাসস্থান থেকে কয়েক শত মাইল দূরে এক স্থানে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।

বুঝতে পারেন আসলে তিনি প্রকৃতিস্থ নন। এর ছয় মাস পরে তার জীবনের গতি আরও পাল্টে যায়। জেমস কিটসের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বন্ধুদের মাধ্যমে এ পরিচয়ের ফলে জেমস হয়ে ওঠেন তার জীবনসঙ্গী। তিনি তাকে পাশে থেকে সমর্থন দিয়ে যান। তাকে নিজের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও এডভেঞ্চারাস বলে আখ্যায়িত করেন সামি ওয়ালটন।