সম্প্রতি এক নারী জানিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে তার সঙ্গীর সঙ্গে আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা, যা এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট। তাদের জড়িপে দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে আবেগগত সম্পর্ক থেকে প্রায় ৫০% পুরুষ ও ২০% নারী বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়ান।

ব্রিটিশ এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় অর্ধেক ব্রিটিশ পুরুষ ও প্রতি পাঁচজনে একজন নারী তাদের সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে। অর্থাৎ তারা বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়ান।

লাভ শ্যাক নামে এক ফোরামে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়ানো নারী-পুরুষ তাদের সম্পর্কের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে অনেক ধরনের তথ্য লিখেন। এতে এক নারী জানিয়েছেন ৩০ বছর বয়সে তিনি সম্পর্কে জড়াত তার অন্য একজন পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে। তার সে সহকর্মী বিবাহিত ও তার দুটি সন্তানও ছিল।

সে নারী জানিয়েছেন, সহকর্মীর সঙ্গে তার সে সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টিকে সাময়ীক বলেই মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের সে সম্পর্ক ক্রমে গাঢ় হয়ে ওঠে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করতাম সে যদি সম্পর্ক গড়তে চায় তাহলে আমারও তাতে আপত্তি নেই।’

বিষয়টি অনৈতিক মনে করার পরও তিনি তা থেকে পিছিয়ে আসেননি। কর্মক্ষেত্রে বিষয়টি অনেকেরই জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। এমনকি এক পর্যায়ে সহকর্মীরা অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে তাকে সাবধান করেছিলেন। কারণ এ বিষয়টিকে মোটেই সহজভাবে নেওয়ার উপায় ছিল না।

আর তাদের এ সম্পর্কটি ক্রমে আবেগগত বিষয় থেকে যৌনতায় রূপান্তরিত হয়। এতে সহকর্মীরা নানাভাবে তাদের নিবৃত হতে পরামর্শ দেয়। বিষয়টি এক পর্যায়ে অত্যাচারের মতো হয়ে দাঁড়ায় বলে লিখেছেন সে নারী।

অনেক সহকর্মী তাদের দুজনকে তা থেকে দূরে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করার পরামর্শও ছিল। অবশ্য তিনি তার সহকর্মীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন না। কী কারণে তারা এমনটা বলছে তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয় তার মাঝে।

এক্ষেত্রে বিষয়টির সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও তিনি বিশ্লেষণ করেছেন তার লেখায়। যেখানে সম্পর্কের বিষয়টি তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হলেও তা নিয়ে বহু মানুষই মাথা ঘামাচ্ছে। এখানে তাদের মতামত সম্পর্কে মূল্য দেওয়ার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকছে।