বাঙালির সুস্বাস্থ্যের এবং সুন্দর ত্বকের গোপন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে সরিষার তেলে। সরষার তেল তো শুধু রান্নাতেই নয়, আরো বহু কাজে আসে বাঙালির জীবনে। রাঁধাবাড়া, ত্বকের যত্ন, ঘর আলোকিত করা- সবেতেই সরিষার তেলের অপার মহিমা! এতই তার সুখ্যাতি যে মানুষ চুরি করেও নিয়ে যায়। বিশেষ করে শীতের দিনে!

কেন না, রূপচর্চায় সরিষার তেল যত কাজে আসে, তেমনটা আর কিছু দিয়েই হয় না! শরীরকে ভিতর থেকে যেমন, বাইরে থেকেও তেমন পুষ্টি জোগায় সরিষার তেল। তাই এই শীতে যদি সুন্দর থাকতে হয়, ব্যবহার করুন সরিষার তেল।

শুকনো ত্বকের হাতিয়ার : অলিভ অয়েল নয়, এই শীতে হাতে তুলে নিন সরিষার তেলের বাটি। গোসলের আধাঘণ্টা আগে সারা গায়ে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করুন। দেখবেন, দিনে দিনে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ছে। পাশাপাশি, এই শীতে ত্বক থাকবে তরতাজাও। কোথাও যাওয়ার আগে হালকা করে এক-দু ফোঁটা সরিষার তেল যদি মুখে মেখে, তার পরে সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নেন, দেখবেন তা ফেসিয়ালের কাজ করছে।

মেকাআপের আগে : মেকআপকে যদি নিখুঁত করতে চান, তবে আগে মুখে একটু সরিষার তেল ম্যাসাজ করে নিন। তার পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে মেকআপ শুরু করুন। এতে ত্বক নরম, কোমল হয়ে থাকবে। ফাউন্ডেশনও বসবে সুন্দরভাবে।

তেলে চুল তাজা : চুল শনের মতো শুকনো? একমাত্র ভরসা ওই সরিষার তেল! নিয়মিতভাবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি ব্রহ্মতালুতে সরিষার তেল ম্যাসাজ করেন এবং পরের দিন সকালে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেন, তবে চুল নরম থাকবে। হবে চকচকেও। পাশাপাশি, খুসকির মতো সমস্যাও দূর হবে যা শীতকালে বেশি করে জাঁকিয়ে বসে।

ঠোঁটের যত্ন নিন : শীতের শুকনো, ফাটা ঠোঁটের যত্ন নিতে সরিষার তেলের জুড়ি মেলা ভার! রোজ রাতে ঘুমাতো যাওয়ার আগে যদি নাভিতে একটু সরিষার তেল দেন, দেখবেন ঠোঁট থাকছে আগের চেয়েও বেশি নরম! পাশাপাশি, শীতের ফাটা গোড়ালিকে সুন্দর চেহারায় ফিরিয়ে আনতেও সরিষার তেলের ম্যাসাজের বিকল্প নেই!

ফর্সা রঙের চাবিকাঠি : সরিষার তেলের নিয়মিত ম্যাসাজ এমনিতেই গায়ের রং উজ্জ্বল করে! পাশাপাশি আরো একটু যত্ন নিতে চাইলে বেসন, দই, কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস আর কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ তা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। মুখে বা সারা শরীরেই। আধাঘণ্টা মতো পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে দেখবেন, রং ফর্সা হতে শুরু করেছে।