মেদ কমাতে কি না করছেন। নিয়মিত যোগব্যয়াম করছেন, হাঁটছেন কিন্তু ওজন কমছে না। পেটের মেদ জমে দেখতে বিশ্রি লাগছে।

পেটের দিকে মেদ জমার অনেক কারণ হতে পারে। যেমন— তলপেটে জমা গ্যাস, রাতে দেরি করে খাওয়া, কার্বোনেটেড পানীয়, কোন দৈহিক কসরত না করা, ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া, কম ঘুমোনো ইত্যাদি।

খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফল ও শাক সবজি থাকুক। এমন খাবার খান যা সহজে হজম হয়। এতে পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয় কম। প্রচুর পরিমাণে পানি খান। এতে শরীরের আবর্জনা দূর হয় এবং মেদ জমা কমে।

ফল খেতে কষ্ট হলে জুস করে খেতে পারেন। পেটের মেদ কমাতে তেমন কিছু ফলের রসের কথা বলা হলো।

তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এতে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি আছে। এটা ওজন কমাতে খুব কার্য়করি। ওজন কমাতে এটা অন্যতম সেরা উপায়। রোজকার খাবারের তালিকায় তরমুজের জুস রাখুন, দেখবেন ওজন কমে গেছে।

পেঁপে
পেঁপেতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এতে যে এনজাইম থাকে তা হজমে সাহায্য করে এবং ফ্যাট ভাঙতে পারে, যার ফলে ওজন কমে। রোজ পেঁপের জুস খেলে ১০ দিনে কোমরের মাপ কমবেই।

আনারস
আনারস এমন এক ফল যা পেটের মেদ কমাতে পারে। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। এটা শরীরের হজম পদ্ধতিতে সাহায্য করে এবং মেদ ঝরায়।

কলা
কলায় এমন কিছু এনজাইম আছে যা হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোজ খাবারে কলা খেলে মেদ কমাতে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়।

আপেল
আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। আপেল খেলে এমনিতে বেশ পরিতৃপ্ত বোধ হয়। আপেল খেলে ওজন কমে বলা হয়। রোজ আপেলের জুস খেলে মেদ বাড়ে না এবং ভূঁড়িও কমে।

আঙুর
আঙুরও বেশ পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি দেয় কারণ আঙুর হজম ধীরে করে দেয়। আঙুরের রস আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে খুব সাহায্য করে। এতে দিনে প্রায় ১০ পাউন্ড অবধি খাবার খাওয়া কমাতে পারে।