কোনো ব্যক্তি ক্ষুধার্ত থাকলে তিনি কয়েক মুহূর্তের জন্য যুক্তি দিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এত গেল খালি পেটে থাকার একটি মাত্র অপকারিতার কথা। কিন্তু আপনি কি জানেন, যে এর বাইরেও ক্ষুধার্ত থাকার একাধিক অপকারিতা রয়েছে যা শরীরে প্রভাব ফেলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়। খালি পেট আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ঘ্রেলিন নামের এক হরমোন এর জন্য দায়ী। গবেষণায় বলা হচ্ছে ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী হরমোন কোনো কোনো সময় আপনাকে আবেগপ্রবণ করে তুলতে পারে।

আসুন জেনে নেই খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকার কি কি সমস্যা হয়–
১। খাবার থেকে নিজেকে যত দুরে সরিয়ে রাখবেন তত বেশি খাবারের প্রতি লোভ বেড়ে যায়। আর তার ফলেই অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, বেশি খাওয়া এই ধরনের নানা সমস্যা হতে পারে। যা শরীরকে দীর্ঘকালে ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত করে।

২। শরীর যদি খাবার না পায় তাহলে শরীরের প্রয়োজন অপূর্ণ রয়ে যায়। ফলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, আচমকা ব্ল্যাক আউট, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে।

৩। নিয়মিত বিরতিতে না খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ প্রভাবিত হতে পারে। আর রক্তের শর্করার পরিমান ওঠানামা করা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

৪। নির্দিষ্ট সময় পরে পরে না খেলে শরীরের এনার্জি কমতে শুরু করে। এর ফলে ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্তি, দুর্বল লাগা প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে।

৫। খাবারের অভাবে আপনার কোনও নির্দিষ্ট কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। মাথায় খালি খাবার সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা হতে পারে।

৬। খাবারের অভাবে শরীরে এনার্জি থাকবে না। ফলে আপনার উৎপাদন ক্ষমতা কমবে। ধীরে ধীরে আপনার শরীরও ভিতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

৭। শরীর ক্রমশ না খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং শরীরে মেদ জমতে শুরু করবে। তাই কখনও খালি পেটে থাকবেন না।