ছাঁকন পদ্ধতিতে রক্ত পরিশোধন করে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে কিডনি। ঠিক একইভাবে ইউরিনের বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রেও কাজ করে। কিডনির ভেতরে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি হলে একেই কিডনির পাথর বলা হয়। এই ক্রিস্টালের মতো পদার্থ একত্রিত হয়ে যখন বৃদ্ধি পায় তখনই পাথর তৈরি হয়। পাথর যখন সংকীর্ণ নালির মধ্য দিয়ে যায় তখন প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং কখনো কখনো নালিটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে চাইলে নিজেও কিছুটা কাজ করতে পারেন কিডনির পাথর অপসারণের জন্য। সেক্ষেত্রে অনুসরণ করুন—

প্রচুর পানি পান

কিডনির পাথর দূর করার প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে প্রচুর পানি পান। আপনার কোন প্রকারের কিডনির পাথর হয়েছে, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। যদি কোনো ব্যথা না হয় তাহলে প্রচুর পানি পান করলে ভালো সমাধান হবে। উল্লেখ্য, কিডনির পাথরের পরিধি ৫ মিলিমিটারের বেশি হয় না। ফলে বেশি করে পানি পান করলে কিডনির পাথর বের হয়ে যাবে।

লেবুর রসের জাদু
অনেকেরই পানি পান করার ব্যাপারে যথেষ্ট অনীহা রয়েছে। সেক্ষেত্রে লেবু সমাধান দেবে। এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ লেবুর রসের সঙ্গে ভিনেগার মেশান। এরপর দিনে তিনবার পান করুন। তবে পানি পান করা কমিয়ে দিলে চলবে না। এর সঙ্গেও প্রচুর পানি পান করতে হবে।

লাল টুকটুকে ডালিম
প্রথমে দর্শনধারী এরপর গুণবিচারি— এমন প্রবাদ ডালিম ফলের পক্ষেই যায়। টুকটুকে লাল ডালিম শুধু দেখতেই সুন্দর তা নয় বরং গুণেও অন্যতম। নানা রোগের পথ্য ডালিম। সেইসঙ্গে জেনে রাখুন কিডনির পাথর সরিয়ে ফেলতেও ডালিম বেশ কার্যকর। ডালিমের জুস ও এর বীজ কিডনির পাথরের জন্য শুদ্ধ প্রাকৃতিক প্রতিকার। ভালো ফল পাওয়ার জন্য তাজা ডালিমের জুস পান করতে পারেন নিয়মিত।
প্রতিদিন একটা আপেল

বিদেশী এই ফলটি সারাবছরই এখন সহজলভ্য। প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া কিংবা এক গ্লাস আপেলের জুস আপনার কিডনির পাথরের সমস্যা দূর করতে পারে সহজেই। নিয়মিত আপেলের জুস খান, আপনার পাথর বেরিয়ে যাবে।

কার্যকর তুলসী পাতা
ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি সারাতে তুলসী পাতা জাদুকরী টনিক। সেইসঙ্গে জেনে রাখুন কিডনির পাথর সরিয়ে ফেলতেও তুলসী পাতা কাজ করে। সেক্ষেত্রে এক চা চামচ তুলসী পাতার রস সমপরিমাণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন প্রতিদিন।

রসালো তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। এছাড়া প্রচুর পানি থাকে বলে পানিশূন্যতা রোধ করতে পারে। তরমুজ মূত্রবর্ধক এবং কিডনির পাথরের প্রতিকার করে।

খাদ্যাভ্যাসে নজর দিন
আপনার খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর খাবার রাখুন। খাবারের কারণেই পাথর তৈরি হতে পারে। কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস ও মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।