বেশ কিছুদিনের আলাপ, হাত ধরাধরি করে এ পার্ক থেকে সে পার্কে ঘোরা। কখনও কাঁধে কাঁধ স্পর্শ করে বসে থাকতে থাকতে আচমকা হাত ধরে ফেলা। এর বেশি কিছুতে যাওয়ার ভাবনাটা কখনও মনে উঁকি দিয়ে গেলেও পোশাকের সরিয়ে রেখে নগ্নতার মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছেটা থাকে না।

কিন্তু কখনও ঘাসের উপরে গা এলিয়ে দিয়ে যখন শুয়ে থাকে মেয়েটি তখন তার চুল নিয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ কেন আঙুল চলে যায় গলার ঠিক তলাটায়। আধো আধো করে ঘুরে মরে আঙুল। প্রথমে কিছু বলে না মেয়েটি। তার পর হঠাৎ বলে ওঠে সে, ‘‘বুকের উপর লিখিস কেন?’’

প্রেমের প্রথম পর্বে কেন শরীর স্পর্শ করার ইচ্ছেটা এত তীব্রভাবে মাথার ভিতরে চেপে বসে? অথচ যাকে বলে পুরোপুরি শারীরিক সম্পর্ক, সেই পর্বে পৌঁছতে বেশিরভাগ মানুষেরই অনেক দিন সময় লাগে। এটা কি শুধুমাত্র সামাজিক ট্যাবু অথবা সংস্কারের কারণে? দু’জনের শরীরকে ছুঁয়ে দেখার আগ্রহ থাকে প্রবল কিন্তু সব আড়ালটা তুলে দিতে মন চায় না।

এমনটা কেন হয়? মনস্তত্ত্ব বলে, মানুষের অ্যানিম্যাল ইনস্টিংক্ট তাকে যৌনতার দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রেম তো শুধু যৌনতা নয়। তাই বুকের উপরে আঙুলে শুধুই কাম বা কৌতূহল নয়, তাতে মিশে থাকে একটা অন্য রকম অনুভূতি। সে অনুভূতিই আসলে মানুষের প্রেমের মূল কথা।

এই অনুভূতিই বুকের আশেপাশে নিয়ে যাকে প্রেমিকের আঙুল কিন্তু বুকের আড়ালটুকু সরায় না। অন্য একটা শরীর যা কি না অন্য একটি মনের আধার, বুকের উপর আঙুল রেখে সেই মনটাকেই আসলে ছুঁতে চায় প্রেমিক।