কোন কারণগুলোর জন্য বিচ্ছেদ হয় দাম্পত্যে?
বিবাহ অতি বিষম বস্তু৷ সামলানো বড় দায়৷ এই পথ বড় সূক্ষ্ণ৷ এক চুল এদিক-ওদিক হওয়ার জো নেই৷ বিপথের মাশুল বেশ ভালভাবেই দিতে হয় দুই পক্ষকে৷ আর এই দু-পক্ষের কাজিয়ার সবচেয়ে বেশি সাক্ষী থাকে তৃতীয় এক পক্ষ৷ যারে কয় ‘ডিভোর্স ল’ইয়ার’৷ পরম যত্নে যাঁরা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটান, তাঁরাই বাতলালেন বিবাহ বিভ্রাটের এই উপায়গুলি৷
১) কথা বন্ধ : দু’টি মানুষ যখন একসঙ্গে থাকে, একটু আধটু খুঁটিনাটি লেগেই থাকে৷ মনের রাগ মনে পুষে না রেখে ঝগড়াটা করে ফেলাই উচিত৷ অনেকেই তা করেন না৷ মনে ক্ষোভ পুষে রেখে চুপ করে থাকার ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দুরত্ব বাড়তে থাকে৷ আর কখন যে সে দূরত্ব বিশাল আকার নেয়, কেউ টেরই পান না৷
২) যৌনতায় অনীহা : ভালবাসায় মনের প্রাধান্যের কথা অনেকেই বলে থাকেন৷ তবে ‘প্লেটোনিক লাভার’রা ভুলে যান শরীর থাকলে, তার চাহিদাও থাকবে৷ সেই চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ না হলে তার প্রভাব সম্পর্কে পড়তে বাধ্য৷
৩) বিপরীত স্বভাব : বিপরীত মেরুতেই চুম্বকের আকর্ষণ থাকে একথা সত্যি৷ কিন্তু প্রেমে এই আকর্ষণ যতটা মধুর, ঠিক ততটা বিয়ের ক্ষেত্রে নয়৷ কারণ বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গেই বসবাস করতে হয়৷ সেখানে আপনার যদি সকালে দেরীতে ওঠার অভ্যাস থাকে এবং আপনার সঙ্গীর ভোরে, তবে ঘটতে পারে বিপত্তি৷
৫) অবজ্ঞা : স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দু’জনের গুরুত্বই সমান৷ আর সেই সম্মান দু’জনকেই বজায় রাখতে হয়৷ এক অসাবধান হলেই বিপত্তি৷ স্বামী যদি স্ত্রীকে খাটো মনে করেন, তাতেও বিপত্তি৷ আর স্ত্রী যদি নিজেকেই সর্বেসর্বা মনে করেন তাতেও বিপত্তি৷
৬) প্রেমের ভাষা অপছন্দ : শব্দ নাকি ব্রহ্ম৷ শব্দের মাহাত্ম্যে বিশাল পর্বতকেও টলানো সম্ভব৷ তবে, এর অপপ্রয়োগে পর্বতের মূষিক প্রসবও হতে পারে৷ তাই প্রেমের শব্দগুলি চয়নের ক্ষেত্রে হামেশা সাবধানতা অবলম্বন করবেন৷
৭) টাকার টানাপোড়েন : আমার টাকা আমার, তোমার টাকা তোমার৷ এই ধারণা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলে আসে, তাহলেই মুশকিল৷ টাকা প্রিয় বস্তু ঠিকই, তবে দানকেও পরম ধর্ম হিসেবে মেনে চলতে হবে৷ আর এই পথেই আমি-তুমি তরজা ছেড়ে ‘আমরা’কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে৷ যা না করলেই শাদি ডট কমে ‘Error’ দেখা দেবে৷