১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

বিশ্বের অদ্ভুত ২০ জনপ্রিয় খাবার!

ছবির এই খাবারটির নাম ‘বালট’ বা ‘ডক ইমব্রেও’। ডিমে তা দিয়ে কয়েকদিন রাখার পর বাচ্চা ফোটানোর ঠিক আগে সিদ্ধ করে তার সঙ্গে মসলা মিশিয়ে খাওয়া হয়। ভিয়েতনাম, চীন ও থাইল্যান্ডসহ পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে খুবই জনপ্রিয় এটি।

 

এক দেশের বুলি আর আরেক দেশের গালি। কথাটি ভাষার ক্ষেত্রে ব্যবহার হলেও খাবারের ক্ষেত্রেও অনেকটাই মিলে যায়। এক দেশে যেসব খাবারের কথা শুনলেই মানুষের বমি বমি ভাব শুরু হয়, অন্য দেশে সেই খাবার খুবই রুচিশীল ও মজাদার হতে পারে। মহামান্য অতিথিদের সেই খাবার দিয়ে আপ্যায়ন না করলে হয়তো মান সম্মান হানি হতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে ভিয়েতনামে ‘স্নেক ওয়াইন’-এর কথা বলা যেতে পারে। এই পানীয় জীবন্ত সাপ দিয়ে তৈরি হয়। পুরো এক বোতল ওয়াইনের ভেতর একটি বা দুটি সাপ ভরে রেখে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পর সেটি খাওয়া হয়। ভিয়েতনাম ও চীনে খুবই জনপ্রিয় এই পানীয়। তারা মনে করেন, এই পানীয় নাকি মানবদেহের রোগবালাই থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে।

এটি ‘সাপ বা বৃশ্চিক ওয়াইন’। মদের ভেতর জীবিত বা মৃত সাপ কয়েকদিন ভরে রাখা হয়। তারপর সাপ বা বৃশ্চিকের শরীরের রাসায়নিক পদার্থ সেই ওয়াইনের সঙ্গে মিশে গেলে সেটি খাওয়া হয়। পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে এটি খুবই জনপ্রিয়।

আবার পূর্ব এশিয়ার দেশসমুহ যেমন ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, চীন ও কোরিয়াসহ কিছু দেশে ‘বালট’ নামে এক ধরনের খাবারের প্রচলন আছে। এই খাবার তৈরি করার জন্য হাঁস বা মুরগির ডিম বাচ্চা ফোটানো জন্য রেখে দেওয়া হয়। যখন বাচ্চা ফোটার সময় হয়, তখন সিদ্ধ করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। খুবই জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর এই খাবার। অথচ অনেক অঞ্চলে এই খাবারের কথা শুনলেই বমি করে ফেলতে পারে মানুষ।

খাবারটির নাম ‘শোইকারা’। বিভিন্ন ছোট ছোট সামুদ্রিক প্রাণি ধরে পরিমান মত মসলা ও লবণ দিয়ে কয়েক মাস পচিয়ে রাখার পর খাওয়া হয় খাবারটি। অনেকদিন ধরে পচানোর কারণে খাবারটি এক সময় বিষাক্ত হয়ে ওঠে। যদিও জাপানে এটি খু্বই জনপ্রিয়।

বিশ্বের এ রকম জনপ্রিয় কিছু খাবার আছে, যা এক দেশের জন্য জঘণ্য পদার্থ ছাড়া কিছুই না। অথচ সেটিই অন্য কোন দেশে খুবই জনপ্রিয় ও সুস্বাদু খাবার। মানুষ খুবই রুচিসহকারে খান এসব খাবার।

তবে পুষ্টি বিজ্ঞানীরা কিছু খাবারের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ আবিষ্কার করেছেন। তবুও খাবারগুলো ওইসব দেশগুলোতে আগের মতই জনপ্রিয় আছে। হাজার বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্য ছাড়তে পারেনি সেই অঞ্চলের মানুষ।

 

 

এটিকে ‘সেঞ্চুরি এগ’ বা ‘পাইডান’ বলে। ডিমের সঙ্গে মাটি, ছাই, লবণ এবং কলিচুন মিশিয়ে কয়েক মাস, বছর বা শতাব্দী পর্যন্ত রাখা হলেই সেটি খাওয়ার উপযোগী হয়। এই খাবারও পূর্ব এশিয়ায় খুবই বিখ্যাত।

 

এটি ‘গিনিপিগের রোস্ট’। দক্ষিণ আমেরিকায় খাবারটি খুবই জনপ্রিয়; বিশেষ করে পেরুতে। গিনিপিগকে পরিমাণ মত মসলা দিয়ে রান্না করে খাওয়ার উপযোগী করা হয়।

 

এটি ‘ট্যারানটুলা’ নামে পরিচিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে খুবই জনপ্রিয় এটি। বিষাক্ত মাকড়সাসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়।

 

জীবন্ত অক্টোপাস। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অক্টোপাস খাবার হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। জীবন্ত অক্টোপাসে পরিমাণ মত মসলা ও লবণ দিয়ে চিবিয়ে খায় কোরিয়ানরা।

 

এটি শূকরের রক্তের দধি। শূকরের জমাটবাঁধা রক্ত দিয়ে তৈরি এই দধি ভাত বা সব্জির সঙ্গে খাওয়া হয়। চীনসহ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে খাবারটি খুবই পরিচিত।

 

‘সাগর সজারু’ নামের এক প্রাণি থেকে তৈরি হয় এই খাবার। তৈরি করা হয় বললে ভুল হবে। কারণ সেটি তৈরি করার কিছুই নেই। বেশিরভাগ সময় এটি কাঁচা খাওয়া হয়। কোন কোন সময় সঙ্গে সামান্য শস মিশিয়েও খাওয়া হয়। এটি জাপানে ‍খুবই জনপ্রিয়।

 

এটি ‘স্মালাহোভ’। ছাগল বা ভেড়ার মাথা সিদ্ধ করার কয়েক ঘণ্টা পর, আলু দিয়ে খাওয়া হয়। এটি নরওয়েতে বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত।

 

এটি মগজের স্যান্ডউইচ। দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রে এটি খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে আলাদা কদর আছে এই খাবারের।

 

এ খাবারটির নাম ‘কাসু মারজু’। প্রথমে দুধ দিয়ে পনির তৈরি করা হয়। তারপর কয়েকদিন রেখে দেওয়া হয়। যখন সেই পনিরে মাছির শুককিট জন্মায় তখন সেটি খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। ইতালিতে এ খাবার খুবই জনপ্রিয়।

 

এটিকে বলে ‘শিরাকো’। রাশিয়া, রুমানিয়া, জাপান এবং সিসিলিতে মাছসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণির যৌনাঙ্গ ও বীর্য থেকে এটি তৈরি করা হয়।

 

এটিকে ‘কফি লুয়াক’ বলে। এ খাবার তৈরি করতে প্রথমে গন্ধগোকূলদের কফির বীজ খাওয়ানো হয়। সেই বীজ গন্ধগোকূল হজম করতে পারে না। তাই বীজসহ মলত্যাগ করে। তারপর মল থেকে বীজ পরিস্কার করে তা থেকে কফি বানিয়ে খাওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ায় এই কফি খুবই জনপ্রিয়।

 

এটিকে ‘ফুগু’ বলে। সামুদ্রিক ‘বেলুন মাছ’ থেকে তৈরি করা হয় এই খাবার। বেলুন মাছ রান্না করে তার সঙ্গে কিছু মসলা বা শস মিশিয়ে খাওয়া হয়। তবে এটি রান্নায় খুব সাবধান থাকতে হয়। তা না হলে মানুষের মৃতও হতে পারে। কারণ বেলুন মাছ খুবই বিষাক্ত।

 

এ খাবারটির নাম ‘খাস’। গরু, ছাগল বা অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণির পায়ের গোড়ালি সিদ্ধ করে খাওয়ার উপযোগী করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ পূর্ব ইউরোপে এই খাবার খুবই জনপ্রিয়।

 

‘ভোজ্য পাখির বাসা’। ছোট কিছু পাখি আছে যেগুলো এক ধরণের রাসাইনিক পদার্থ দিয়ে বাসা বানায়। এ বাসাগুলো মানুষের খাবার উপযোগী। সেগুলো সংগ্রহ করে রান্না করে খাওয়া হয়। চীন ও মালয়েশিয়ায় খুবই জনপ্রিয় এ খাবারটি।

 

এই খাবারের নাম ‘হুইটলাকোচ’। ভু্ট্টার গাছে ফুল আসার পর সেই ফুলে রোগে আক্রমণ করে ছত্রাক জন্মে। সেই ছত্রাক থেকে তৈরি করা হয় এই খাবার। খাবারটি খুবই পুষ্টিকর হিসেবে পরিচিত।

 

বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে তৈরি করা হয় এই খাবার। পোকামাকড়গুলো ভেজে তার সঙ্গে মজাদার মসলা মিশিয়ে খাওয়ার উপযোগী করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় খাবারটি খুবই জনপ্রিয়।

 

এই খাবারের নাম ‘হারকার্ল’। হাঙ্গরের মাংস থেকে তৈরি করা হয় এ খাবার। আইসল্যান্ডে খাবারটি খুবই জনপ্রিয়।

Comments

comments