সমীক্ষা রিপোর্ট সত্যিই উদ্বেগে রেখেছে গবেষকদের। মধ্য চল্লিশের আগেই যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলছেন পুরুষরা। নয়তো নানা যৌন সমস্যায় ভুগছেন।

গত এক বছর ধরে ভারতের দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২ লক্ষ পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রোফাইল টেস্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের সিমেন অ্যানালিসস (স্পার্ম কাউন্ট ও মরফোলজি) করে বিস্মিত হয়েছেন গবেষকরা। সাধারণত মধ্য পঞ্চাশ পর্যন্ত পুরুষের যৌন ক্ষমতা থাকে। কিন্তু, এখন পঞ্চাশও যাচ্ছে না। মধ্য চল্লিশের আগে পুরুষরা যৌনক্ষমতা হারাচ্ছেন।

ডালমিয়া মেডিকেয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, চল্লিশের আশপাশে বয়স এমন দু-লক্ষ পুরুষের মধ্যে ১৫%-ই যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। স্পার্ম কাউন্ট করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ৬৩ শতাংশ পুরুষের স্পার্মের সংখ্যা ১০ মিলিয়নেরও কম। যেখানে এখন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট হওয়া উচিত ৪০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন।

সমীক্ষক দলের প্রধান ডাক্তার সুনীত যাদব জানান, দিল্লির পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও অস্বাভাবিক কম। দেখা গিয়েছে, ৬০ শতাংশের বেশি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কম রয়েছে।

বর্তমান লাইফস্টাইলকেই এ জন্য দায়ী করছেন গবেষকরা। তাঁদের কথা অনুযায়ী, শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ও মিনারেলেরও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

দিল্লির বিশিষ্ট আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইলা গুপ্তা বলেন, সাধারণত পুরুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে যৌনশক্তি কমে আসে। কিন্তু এখন যুবকদের মধ্যেও লিবিডো দেখা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে কিছু সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টরের উল্লেখ করেন। ব্যক্তিগত রিলেশনশিপে সমস্যা, ডিপ্রেসেনের মতো নানাবিধ কারণে এমন হতে পারে। এ ছাড়াও মাদকাসক্তি, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ, দিনের পর দিন নাইটশিফট করলেও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে আসে।

তাঁরা জানাচ্ছেন, লাইফস্টাইলে সামান্য পরিবর্তন আনলে, স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খেলে পুনরায় কামশক্তি ফিরে পাওয়া যায়। সেগুলো কী? পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম চাই। অ্যালকোহল যতটা সম্ভব বর্জন করতে হবে। কাটাতে হবে মানসিক চাপ।