আরবের অবিবাহিত তরুণীদের কাছে কুমারীত্ব বড়ই গুরুতর বিষয়। বিয়ের আগে প্রেমে পড়েই হোক, আর ঘটনাচক্রের হোক কোনো পুরুষের সঙ্গে দৈহিক মিলনের কথা জানাজানি হলে কেবল সামাজিক লাঞ্ছনাই নয়, খুন হওয়াটাও তাদের কাছে বিচিত্র কিছু নয়। এ কারণেই বিয়ের আগে সতীত্ব যারা হারিয়েছে, তারা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটা আবার ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। যাতে বাসর রাতে স্বামী বুঝতে পারে নববধূ সত্যিই কুমারী।

বড় ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই আজকাল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মেয়েদের সতীত্ব ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তার জন্য খরচ পড়ে এক হাজার ৭০০ পাউন্ড (২ হাজার ইউরো)। তবে আরব তরুণীদের ওই অস্ত্রোপচারের জন্য ক্লিনিক দুবাই কিংবা কায়রোসহ মধ্যপ্রাচ্যের কোনো নগরীতে নেই। সেজন্য তাদের যেতে হয় প্যারিসে।

যেমন ডা. মার্ক আবেকাসিস নামের এক চিকিৎসকের একটি ক্লিনিক আছে, যেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মেয়েদের সতীত্ব ফিরিয়ে আনা হয়। ওই চিকিৎসক সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মেয়েদের যে অস্ত্রোপচার করে থাকেন, তাকে বলা হয় ‘হিমেনোপ্লাস্টি’। সোজা কথায় সতীচ্ছদ পুনঃস্থাপন। লোকাল অ্যানেসথেশিয়ার সাহায্যে সতীচ্ছদের টিস্যু স্থাপনের ওই কাজ সারতে সময় লাগে বড় জোর ৩০ মিনিট। ডা. আবেকাসিস জানান, ঐতিহ্যগত ও পারিবারিক দিক থেকে বিপদের আশঙ্কা করেই মেয়েরা তাদের কাছে আসে। তাদের ফিরিয়ে দেওয়া কিংবা বিচার করা চিকিৎসকের কাজ নয় বলে তিনি জানান।

এদিকে আরব মেয়েদের সতীত্ব ফিরিয়ে আনার মস্ত সুযোগ এনে দিয়েছে এক চীনা প্রতিষ্ঠান। তারা কৃত্রিম সতীচ্ছদ তৈরি করছে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা পণ্যের বিজ্ঞাপন ও বাজারজাতের কাজ সারছে। ইলাস্টিকের সাহায্যে তাদের তৈরি সতীচ্ছদের দাম মাত্র ২০ পাউন্ড (২৩ ইউরো)। বিনা অস্ত্রোপচারেই তা প্রতিস্থাপন করা যায়। তাতে নকল রক্ত আছে। একবার জায়গা মতো স্থাপন করা গেলেই মেয়েদের সতীত্ব নিয়ে আর ভাবতে হবে না বলে চীনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তা জানিয়েছে।

বাসর রাতে কনের সতীচ্ছদের রক্ত চাদরে লেপ্টে থাকবেথ এটা আরব পুরুষ বা সমাজের একান্ত কাম্য। যদিও সিরীয় ধর্মাবেত্তা শেখ মোহাম্মদ হাবাস বলেছেন, এটা পুরোপুরি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, এর সঙ্গে শরিয়ত বা ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও শিক্ষিত আরব যুবক যদি বাসর রাতে দেখতে পায়থ তার নববধূ কুমারী নয়, তাহলে তাকে মুহূর্তেই পরিত্যাগ করতে দ্বিধা করবে না।