বয়স ৩০ পেরলেই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
জীবনের ধর্ম মেনে প্রতিদিন আমরা একটু একটু করে বুড়িয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়ছে আমাদের শরীরও। কমছে কাজ করার বা শ্রম প্রদানের ক্ষমতাও। আসলে ২৫ বছরের পর থেকেই আমাদের সারা শরীরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অগুনতি সেলেদের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে দেয়।
আর ৩৫ পেরলেই ডিজেনারেশন প্রসেস যেন চরমে ওঠে। আর এমনটা হলে শরীরে তার ছাপ পড়তে শুরু করে, ত্বক তার সৌন্দর্য হারায়। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে নানা রকমের জটিল রোগ ধীরে ধীরে আমাদের ঘিরে ধরে। তাই তো বেশিদিন সুস্থ ও সুন্দর থাকতে ৩০ পেরলেই কতগুলি নিয়ম মেনে চলা উচিত। কী সেই সব নিয়ম?চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
টিপ ১:মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়া কমাতে হবে। না হলে সেলের ডিজেনারেশন প্রসেস বেড়ে গিয়ে বয়সও বড়বে লাগামহীন ভাবে। তাই বেশিদিন যদি সুস্থ থাকতে হলে আজ থেকেই কফি পানের মাত্রা কমানোটা জরুরি।
টিপ ২:বয়স ৩০ পেরলেই মহিলাদের রোজের ডায়েটে কলা থাকাটা মাস্ট! কারণ এই সময় যদি শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে হরমোনাল ইমবেলেন্সের মতো সমস্য়া মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর এমনটা হলে শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে একের পর এক রোগ। তাই তো সুস্থ-সবল থাকতে কলাকে আজ থেকেই বন্ধু বানান। দেখবেন অনেক দিন পর্যন্ত সচল থাকতে পারবেন।
টিপ ৩:সবুজ শাক-সবজি খান বেশি করে। বিশেষত পালং শাক যত পারবেন, তত খান। কারণ এই শাকটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট, যা ব্লাড কাউন্ট বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে সবদিক থেকে চাঙ্গা রাখে।
টিপ ৪: ৩০ বছরের পর থেকেই হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে ক্য়ালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- দুধ, দই প্রভৃতি খেতে হবে বেশি পরিমাণে।
টিপ ৫: প্রতিদিন একটা করে সাইট্রাস ফল খাওয়া জরুরি। এই ধরনের ফলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন- সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে নানাবিধ রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য় করে।
টিপ ৬: ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার সময়ে করতে হবে। কোনও সময় খালি পেটে থাকা চলবে না। কারণ এমনটা করলে হজম ক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
টিপ ৭: ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। কারণ এই উপাদানটি ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
টিপ ৮: ৩০-এর পর থেকে অ্যালকোহল সেবন একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। কারণ এই সময় শরীরে ইনফ্লমেটরি রেসপন্স খুব বেশি থাকে। আর অ্যালকোহল শরীরের আন্দরে ইনফ্লমেশনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর ভাঙতে শুরু করে।