যে ২০টি খাবার আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়াতে সাহায্য করবে
ভালো খাবার এবং পরিপূর্ন মিলন শর্তের মত একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। অনেকে আছেন সঙ্গীর সাথে মিলনে অনাগ্রহী বা আগ্রহ জন্ম নিলে ও কম। যা আপনাদের দাম্পত্য-জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দিবে।
তবে আজ এই সমস্যার সমাধানে ২০ টি খাদ্য সম্পর্কে জানাবো। যাতে আপনার স্বাস্থ্য ও দাম্পত্য চাহিদা দুটোই ঠিক থাকবে।
এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন আপনার মিলনেচ্ছা এবং পারফরম্যান্সের জন্য জরুরি। আপনি মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য।
আরও খবর: যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
আসুন দেখে নিই-
১। দুধঃ একটি সুষম খাদ্য। দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি খান যথেষ্ট পরিমাণে খেতে পারেন। কারণ এতে প্রাণিজ-ফ্যাট আছে, যা যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। ফ্যাট জাতীয় খাদ্য সবাই এড়িয়ে চলে ঠিক। তবে আপনি যদি আপনার যৌন জীবনকে উন্নত করতে হরমোন উৎপন্ন করতে চান। তবে, প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে এগুলো অবশ্যই প্রাকৃতিক ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত হতে হবে।
২। ঝিনুকঃ অনেকে ঘৃণা করেন, নাক সিঁটকোবেন। তবে একথা আপনাকে মানতে হবে- ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঝিনুকে অধিক পরিমাণে জিন (জিঙ্ক) থাকে। জিন অধিক পরিমাণে শুক্রানু তৈরী করে এবং যৌন ইচ্ছা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কাচা বা রান্না উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়।
৩। অ্যাসপারাগাসঃ যৌন ইচ্ছা বাড়াতে অ্যাসপারাগাস একটি ফলদায়ক খাবার। এটি আপনার শরীরের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
৪। কলিজাঃ কলিজা অনেকে খেতে মোটেও পছন্দ করেন না। তবে মনে রাখবেন যৌন জীবনের জন্য কলিজার ভুমিকা বলে শেষ করা যাবে না। কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক আছে। যা হরমোন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। জিঙ্ক যদি না থাকে তবে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। তাছাড়া জিঙ্ক থেকে তৈরী হয় এক প্রকার এনজাইম যা পরবর্তীতে এস্ট্রোজেনে পরিনত হয়। এই এস্ট্রোজেন ও আপনার যৌনজীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৫। ডিমঃ ডিমে অধিক পরিমাণে বি-ফাইভ, বি-সিক্স থাকে। যা শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে।
৬। ক্যাভিয়ারঃ এটাও ডিমের মত কাজ করে। কারণ এতেও ডিমের মত অধিক পরিমাণে বি-ফাইভ, বি-সিক্স থাকে।
৭। কলাঃ কলা যৌন শক্তিবর্ধক। কারণ কলাতে প্রচুর পরিমানে লৌহ,পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি এবং ব্রুমাইল্ড এনজাইম থাকে।
৮। মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলু একটি ভালো মানের শর্করার উৎস। এরমতো শর্করা খুব কম খাদ্যেই আছে। একারণে মিষ্টি আলু একটি ভালো মানের সেক্স ফুড হিসেবে পরিচিত।
আরও খবর: যৌনশক্তি বাড়ানোর সঠিক উপায়
৯। কফিঃ কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন যৌনতার মুড ঠিক রাখে। একারণে কফি ও একটি ভালো মানের যৌনতা বর্ধক খাবার।
১০। চকোলেটঃ চকোলেট কথা শুনে অনেকে আশ্চর্য হতে পারেন। চকলেট আপনাকে আনন্দে থাকতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে থিওব্রোমাইন নামে এক ধরনের কেমিক্যাল। চকলেটে বিদ্যমান এলকালয়েড জাতীয় যৌগটি ক্যাফেইনের মত কাজ করে। এই যৌগের কারণে সেরেটোনিন নামক এক ধরণের পদার্থ তৈরি হয়, যা আপনার যৌন ইচ্ছার জন্য দরকারী।
১১। কুমড়ার বীচিঃ কুমড়ার বীচিতে রয়েছে (জিন) জিঙ্ক। জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়ায়। যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।
১২। ট্রাফল (একধরনের ছত্রাক): ট্রাফল ও একটি যৌন বর্ধক খাবার যাতে পুরুষের যৌন হরমোনের মত একধরনের উপাদান বিদ্যমান। এমনকি কিছু কিছু খাবারে ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একারণে নারীদের পুরুষের প্রতি লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায় অনেক গুণ। যেমন: ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার করা হয় থাকে।
১৩। জয়ফলঃ ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়ে থাকে। সাধারণভাবে এটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে যার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। একারণে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পাবে। কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব হবে।
১৪। সূর্যমুখীর বীজঃ সূর্যমুখীর বীজ আরো একটি যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধিকারক খাদ্য। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ ও হরমোন বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যার জন্য যৌন আকাঙ্ক্ষাও বুদ্ধি পায়।
১৫। মাছঃ সামুদ্রিক ফ্যাটযুক্ত মাছ আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়িয়ে দিবে। যেমন-হেরিং মাছ, ট্রাউট, সার্ডিন, টুনা ইত্যাদি মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে যা যৌন ইচ্ছা বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাদের লিবিডো কম আছে তারা মাছের তেল বা ফিশ-অয়েল সম্পূরক খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করবেন। জিঙ্কের পরিমাণ কম থাকলে শতকরা ৩০ ভাগ কম বীর্য তৈরি হয়।
১৭। শিমের বিচিঃ সীমের বীচিতে অধিক পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। যা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে।
১৮। রোস্ট গরুর মাংসঃ গরুর মাংসেও প্রচুর জিঙ্ক বিদ্যমান। একারণে যৌন জীবনকে আরো বেশি আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান।
১৯। অ্যাভোকাডোঃ অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে একে নারী ফল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। তবে শুধু এর আকৃতিই আকর্ষণীয় না, এতে প্রচুর ভিটামিন বি-সিক্স এবং পটাসিয়াম থাকে। এর ফলে এটা খেলে আপনার যৌন ইচ্ছা এবংযৌন সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। এই ফলের এই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যটির কারণে একে স্প্যানিশ প্রিস্টরা নিষিদ্ধ করেছিল।