১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

যে গুনাহ আল্লাহ কখনোই মাফ করবেন না !!!

মানুষ চলার পথে অনেক ভুল করে থাকে। জেনে কিংবা না বুঝে মানুষ মাঝে মাঝে এমন কিছু ভুল করে, যা মহান আল্লাহ তায়ালা কখনোই ক্ষমা করবে না। কি সেই পাপ? কি সেই ঘৃণ্য কাজ? চলুন এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কি আছে তা জেনে আসি।
আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনের সূরা নিসার ৪৮ নম্বা আয়াতে ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করা ক্ষমা করেন না।
এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর শরিক করে, সে এক মহাপাপ করে।
এমনিভাবে ১১৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেন, কেউ আল্লাহর শরিক করিলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়।
শিরক হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলী সম্পর্কে যেসব বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে তেমন কোনো বিশ্বাসসৃষ্ট বস্তুর ইবাদত, মহব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে আল্লাহর সমতুল্য মনে না করা। যারা আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে তাদের মুশরিক বলে। তারা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।
আর আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা শুআরা-৯৭-৯৮ আয়াতে মুশরিক সম্পর্কে বলেছেন, মুশরিকরা জাহান্নামে পৌঁছে বলবে, আল্লাহর শপথ! আমরা তো পথভষ্ট্র ও বিভ্রান্তিতেই ছিলাম, যখন আমরা তোমাদিগকে জগৎসমূহের প্রতিপালকের সমকক্ষ গণ্য করতাম।
সুরা লুকমানের ১৩নং আয়াতে হজরত লুকমান স্বীয় পুত্রকে উপদেশ দানের সময় বলেন হে বৎস! আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা মহাঅন্যায়।
১৫নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন যদি তোমার মাতা-পিতা আমার সঙ্গে এমন কোনো বিষয়কে শরিক করতে পীড়াপীড়ি করে যার জ্ঞান তোমার নেই তাহলে তুমি তাদের কথা মানবে না। এই আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যায় তাফসিরে মাআরিফু কোরআন।
এ বলা হয়েছে হজরত লুকমান হাকিমের জ্ঞানগর্ভ বাণীসমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আকিদাসমূহ পরিশুদ্ধ করা। তন্মধ্যে সর্বপ্রথম কথা হলো কোনো প্রকারের অংশীদার স্থির না করে আল্লাহ পাককে গোটা বিশ্বের স্রষ্টা ও প্রভু বলে বিশ্বাস করা।
সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কাউকে উপাসনা-আরাধনায় অংশীদার স্থাপন না করা। কারণ আল্লাহ তায়ালার কোনো সৃষ্ট বস্তুকে স্রষ্টার মর্যাদা সম্পন্ন মনে করার মতো গুরুতর অপরাধ দুনিয়াতে আর কিছুই হতে পারে না।
ইসলামে সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার ত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু শিরক এমন এক জঘন্য অপরাধ, যা মাতা-পিতার নির্দেশ তো দূরের কথা বাধ্য করলেও তা মানা কারো পক্ষেই জায়েজ হবে না।
বরং তখন তা প্রত্যাখ্যান করা আবশ্যকই বটে। মোটকথা শিরক এমন একটি মারাÍক অপরাধ যা মৃত্যুর আগে খাঁটি অন্তরে তওবা না করলে আল্লাহ তায়ালা কখনো ক্ষমা করবেন না। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সব কাজকর্মে একটু সচেতনতা বোধ জাগিয়ে রেখে চলতে হবে।
যেন আমরা শিরকের মতো ভয়াবহ জঘন্য পাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে যেন তৌফিক দান করেন, আমরা যেন এই পাপের কাজ থেকে বিরত থাকতে পারি।

Comments

comments