১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

কিডনিতে পাথর আর নয় অবহেলা !!!

কিডনিতে পাথর হলে তা হয় বেশ বেদনাদায়ক৷ কিডনিতে কেন পাথর হয়, কেমন এই পাথর আর কীভাবেই বা এ সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া সম্ভব? এ সবই থাকছে ছবিঘরে৷
কিডনির পাথর
কিডনির রোগগুলোর মধ্যে পাথরজনিত রোগই সবচেয়ে বেশি৷ তাই কিডনিতে পাথর হওয়া বা হলে সেই কষ্টের কথা শোনেননি, এমন মানুষের সংখ্যা বোধহয় কম৷ খনিজলবণ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়৷ তবে পাথর হয়ে থাকে নানা কারণে৷ প্রস্রাব ঘন বা গাঢ় হলে খনিজগুলোকে দানা বাঁধতে সহায়তা করে বিভিন্ন উপাদান৷
বোঝার উপায়
কিডনির মধ্যে পাথর খানিকটা বড় হয়ে যখন বিচরণ করতে থাকে তখনই ব্যথা বাড়ে৷ তবে এমন পাথরও আছে যেগুলো চুপচাপ বসে থাকে৷ তাই শুধুমাত্র এক্সরে এবং আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমেই ধরা পড়ে এগুলি৷ এক্ষেত্রে ডাক্তাদের পরামর্শ, ব্যথা না করা পর্যন্ত নিয়মিত চেকআপ করানোর৷
পেটে ব্যথা
কিডনিতে জমে থাকা পাথর যখন আস্তে আস্তে মূত্রনালিতে চলে আসে, তখনই ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা শুরু হয়৷ সাধারণত প্রস্রাব করার সময় হালকা ব্যথা হয়ে থাকে, এমনকি ছোট ছোট পাথরগুলো বের হয়েও আসতে পারে৷ তবে বড় পাথর মূত্রের রাস্তায় আটকে গিয়ে ‘রেনাল কলিক’ হতে পারে৷ এতে পেটে অসম্ভব ব্যথা হয়৷ সাথে বমি, ঘেমে যাওয়া, জ্বর ইত্যাদি হতে পারে৷ এমন হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে৷
পানি পান ও শরীরচর্চা
রোগী যদি বুঝতে পারেন যে তাঁর প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা খোঁচা লাগছে, তাহলে ইউরোলজিস্ট-এর কাছে যেতে হবে৷ তিনি রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা এবং আলট্রাসাউন্ড করার পর আপনাকে জানাবেন, কোন ধরনের পাথর হয়েছে এবং কী চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন৷ তবে চার মিলিমিটারের চেয়ে ছোট আকারের পাথর হলে, তা নিজে থেকে চলে যেতে পারে৷ অবশ্য এর জন্য রোগীকে নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান ও শরীরচর্চা করতে হবে৷
বড় পাথর
কিডনির পাথরে সাইজ যদি সাত মিলিমিটারের বেশি হয়, তাহলে সেটা নিজে থেকে বের হতে পারে না৷ সেক্ষেত্রে লেজার, এন্ডোসকোপি বা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে পাথর গুড়ো বা ভেঙে ফেলা সম্ভব৷ এছাড়া খাবার-দাবারে পরিবর্তন এবং নানা রকম ওষুধের সাহায্যেও পাথর গলানো যায়, তবে সেটা সময়সাপেক্ষ৷ বলা বাহুল্য সব পাথর একই পদার্থের হয় না৷ তাই পাথরভেদে ওষুধ বা চিকিৎসার আশ্রয় নিতে হয়৷
সচেতনতা
কিডনিতে যাতে পাথর না হয় এবং যাঁদের পাথর বের করে ফেলা হয়েছে তাঁদের আবার যেন নতুন করে তেমনটা না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷ শুধু তাই নয়, তাঁদের জীবনযাত্রার মানেও পরিবর্তন আনতে হবে৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, শহরবাসীদের কিডনিতে পাথর বেশি হয়ে থাকে, বিশেষ করে যাঁরা সারাদিন বসে কাজ করেন৷ তাই হাঁটাচলা খুবই জরুরি৷
পরামর্শ
ইউরোলজিস্ট-এর পারামর্শ, অতিরিক্ত লবণ, লাল মাংস এবং চর্বিজাতীয় খাবার কম খেয়ে শাক-সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া দরকার৷ পাশাপাশি প্রয়োজন হাঁটাচলা এবং শরীরচর্চা৷ তাছাড়া কিডনিতে কোনো সমস্যা মানেই প্রচুর পানি পান করতে হবে৷ একমাত্র তবেই কিডনিতে পাথর হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না৷

Comments

comments