৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

আপনি কি ভিটামিন খান ? খাওয়ার আগে জেনে নিন কিছু বিষয় !!!

ভিটামিন খেলে দাঁত সুন্দর হয়, চুল সুন্দর হয়, রং সুন্দর হয়, অসুখ দূর হয়— এমন কথা আমরা প্রায়শই শুনে থাকি। খাবার থেকে তো আমরা ভিটামিন পাই। এছাড়া সম্পূরক খাদ্য হিসেবে কিছু ভিটামিনের বড়িও সেবন করে থাকি।
অনেক সময় তা নিজে নিজেই বা অন্যের পরামর্শ বা অন্যদের দেহে সুফল এনেছে তা শুনেই খেয়ে নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ বা ব্যবস্থাপত্রের ধারও ধারি না।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরে প্রয়োজনের বেশি মাত্রায় ভিটামিন গ্রহণ করলে তা হতে পারে স্বাস্থ্যহানীর কারণ।
পুষ্পাওয়াতি সিংঘানিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট ভারতের একটি হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য গবেষণাকেন্দ্র। সেখানকার প্রধাণ পুষ্টি বিজ্ঞানী নীলঞ্জনা সিং জানিয়েছে অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে পাশাপাশি ভিটামিনের সহজ কিছু উৎসের সন্ধানও দিয়েছেন তিনি।
ভিটামিন এ: নিয়মিত ভিটামিন এ’র সম্পূরক বড়ির পরিমাণ অধিক হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। গায়ের রং ফ্যাকাসে হয়ে যায়, নখ ভেঙ্গুর হয়ে পরে, ক্লান্তি জেঁকে ধরে, পেটের ব্যথা অনুভূত হয় এবং সবচেয়ে যেটা আশংকাজনক তা হচ্ছে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
উৎস- ভিটামিন এ’র সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী উৎস হচ্ছে রঙিন ফল এবং শাকসবজি। যেমন- আম, মিষ্টিআলু, গাজর, পেঁপে, কুমড়া। এগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যোগ করে ভিটামিন এ’র মাত্রা কোনো রকমের বিপদ ছাড়াই ঠিক রাখা যায়।
ভিটামিন বি: লম্বা সময় কাজ করার ফলে রাতে মাংশপেশিতে টান পড়তে পারে। এটা ভিটামিন বি টোয়েল্ভ’য়ের অভাব জনিত একটি রোগ। এই রোগের চিকিৎসায় ভিটামিন বি টোয়েল্ভ’য়ের সম্পূরক বড়ি দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সময় এই বড়ি সেবনের ফলে স্নায়ুতন্ত্রের বেশ ক্ষতি হয়। ফলে শরীর অসাড় হয়ে যেতে পারে।
তাই যে কোনো ভিটামিনের বড়ি সেবনের আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তার মাত্রা জেনে নেওয়া আবশ্যক।
উৎস- শাক, ডাল, অঙ্কুরিত ছোলা, শিমজাতীয় শস্য, এবং চর্বিবিহীন মাংস প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে এসব খাবারের একাংশ অবশ্যই রাখতে হবে।
ভিটামিন সি: ভিটামিন সি দেহের লৌহ উপাদান শোষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ঠাণ্ডা, কাশি, অ্যালার্জিকে প্রতিরোধ করে। এত গুণী এই ভিটামিনকেই যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে বমি বমি ভাব হতে পারে।
উৎস- কমলা, সজনে, বেল পেপার এই ভিটামিনে ঠাঁসা।
ভিটামিন ডি: একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের মানুষদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগে। এই অভাব পূরণের জন্য সবাই কম বেশি ভিটামিন ডি’র সম্পূরক বড়ি খেয়ে থাকেন।
এই সম্পূরক বড়ি রক্তে ভিটামিন ডি’র ঘনত্ব বৃদ্ধি করে যা দেহের নরম অঙ্গ যেমন হৃদপিণ্ড, বৃক্ক, ফুসফুসে গিয়ে জমা হতে থাকে। এতে হৃদরোগ ছাড়াও আরও অনেক ধরনের রোগ হয়। তাই লোকে কী বলল তা শুনে কিছুতেই ভিটামিন ডি’র ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
উৎস- ডিমের কুসুম ও প্রাণীর যকৃতের মাংস দেহের ভিটামিন ডি বাড়াতে খুবই কার্যকর। এ ছাড়াও সকাল সকাল গায়ে রোদ লাগালেও শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয় নিজে থেকেই।

Comments

comments