করলা- তেতো স্বাদের এই সবজিটি অনেকেরই বেশ অপছন্দ। তবে করলা যে বেশ স্বাস্থ্যকর, এটা অনেকেরই জানা। এই তেতো সবজিটি ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে, ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়, করলা কিছু কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ চমৎকারভাবে কাজ করে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুট টিম প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।

* পুষ্টিগুণ: ১০০ গ্রাম করলায় থাকে-

– ভিটামিন কে: ৪.৮ মিলিগ্রাম
– ভিটামিন বি১: ০.০৪০ মিলিগ্রাম
– ভিটামিন বি২: ০.০৪০ মিলিগ্রাম
– ভিটামিন বি৩: ০.৪০০ গ্রাম
– ভিটামিন সি: ৮৪ মিলিগ্রাম
– ক্যালোরি: ১৭ কিলোক্যাল
– কার্বোহাইড্রেট: ৩.৭০ গ্রাম
– আঁশ: ২.৮ গ্রাম
– চর্বি: ০৩১৭ গ্রাম
– ফোলেট: ২৭ মাইক্রোগ্রাম
– প্রোটিন: ১.০০ গ্রাম
– পটাশিয়াম: ২৯৬ মিলিগ্রাম
– ক্যালসিয়াম: ১৯ মিলিগ্রাম
– ফসফরাস: ৩১ মিলিগ্রাম
– ম্যাগনেসিয়াম: ১৭ মিলিগ্রাম
– সোডিয়াম: ৫ মিলিগ্রাম

সেইন্ট লুইস ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার সেন্টারের গবেষকদের মতে, করলার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ক্যান্সাররোধী উপাদান। করলা ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে কাজ করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।

আরেকটি গবেষণায় ইউনির্ভিসিটি অব কলোরাডো সেন্টারের একদল গবেষক বলেন, করলার জুস ক্যান্সারের চিকিৎসা কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতেও কাজ করে এবং টিউমারের বৃদ্ধি ধীরগতির করে।

করলার মধ্যে থাকা গ্লাইকোপ্রোটিন ল্যাকটিন লিভার, প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, রক্তের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কাজ করে। এ ছাড়া করলা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও বেশ কাজ করে। তাই নিয়মিত করলা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।