ইতিহাস সৃষ্টি করে অবিষ্কার হয়েছে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের টিকা !!!
অবিষ্কার হয়েছে মানব শরীরে ক্যান্সারে জীবাণু ধ্বংসকারী টিকা ‘ক্যান্সার ভ্যাকসিন'(Cancer Vaccine)। এই টিকে শরীরের যেকোনো অংশে ছড়িয়ে থাকা ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করবে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। ইতিহাস সৃষ্টিকারী
এই টিকা এখনও পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু, প্রথমবার এক রোগীর শরীরে প্রয়োগ করার পর ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। লন্ডনের বেকেনহ্যামের বাসিন্দা কেলি পটারের শরীরে প্রথম প্রয়োগ করা হয় ওই টিকা। ৩৫ বছরের ওই মহিলা জরায়ুতে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর শরীরে যখন ক্যান্সারের টিকা প্রয়োগ করা হয় তখন ক্যান্সার পৌঁছে গিয়েছে চতুর্থ পর্যায়ে। তাঁর লিভার এবং ফুসফুসের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল ক্যান্সারের জীবাণু। টিকা দেওয়ার পর তাঁর শরীরে ক্যান্সারের ব্যাপ্তি এখন অনেক স্থিতিশীল হয়েছে। একইসঙ্গে লিভার ও ফুসফুসের মধ্যে জীবাণু ছড়িয়ে পড়াও বন্ধ হয়েছে। আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন কেলি পটার।
শুধুমাত্র ক্যান্সার নয় মানব শরীরের অনেক মারণরোগ নিরাময় করতে এই টিকা কাজ করবে বলে জানিয়েছেন এই টিকা নিয়ে গবেষণা সংস্থার প্রধান জেমস স্পাইসার। তাঁর কথায়, “মানুষের শরীরে অনেক সময় খুব শক্ত টিউমার হয়। এই টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব।” এই ‘ক্যান্সার টিকা’ সমাজের কাছে খুবই কার্যকরী হবে বলেও আশাবাদী তিনি। যদিও ক্যান্সার শরীর থেকে পুরোপুরি নির্মূল করতে এই টিকের সঙ্গে কম মাত্রার কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেমস স্পাইসার।
গবেষক সংস্থা গাই’স এন্ড সেন্ট থমাস বায়োমেডিকেল রিসার্চের তরফে বলা হয়েছে ‘হিউম্যান টেলোমাড়েজ রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ’ নামের এক ধরণের উৎসেচক বিভাজনের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষের ক্রমাগত বংশ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই উৎসেচকের গঠনমূলক প্রোটিনের সামান্য অংশ এই টিকাতে রাখা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে এই এন্টিজেনটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরের রক্তে প্রবেশ করালে তা ভাল কোষ গুলোকে অক্ষুণ্ণ রেখে ক্ষতিকর ক্যান্সার কোষগুলোকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।