স্ট্রবেরির উপকারিতাগুলো জেনে নিন !!!
স্ট্রবেরি বর্তমানে দেশেই চাষ হয়। তাই বেশ সহজলভ্য। টক-মিষ্টি এই ফল অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর।
ভিটামিন সি’তে ভরপুর এই ফল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া আরও কী কী উপকার করে তাই জানিয়েছে ভারতীয় একটি পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইট।
* ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও নমনীয়তা বজায় রাখার জন্য দরকার কোলাজেন। এই কোলাজেন উৎপাদনে প্রয়োজন ভিটামিন সি। যা স্ট্রবেরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে। স্ট্রবেরি খেলে ত্বক সুন্দর ও তারুণ্য দীপ্ত হয়।
* আর্থ্রাইটিস নামক অস্থিসন্ধি প্রদাহ রোগের কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। স্ট্রবেরিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কিছু উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক উপাদান এই প্রদাহ কমিয়ে দিতে কার্যকর।
* স্ট্রবেরির উপাদানগুলো খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কাজ করে। অন্য যে কোনো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের থেকে স্ট্রবেরির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অনেক দ্রুত কাজ করে। পাশাপাশি এলাজিক অ্যাসিড নামের একটি অ্যাসিড স্ট্রবেরিতে উপস্থিত থেকে খারাপ কোলেস্টেরলকে খুব ভালোভাবে প্রশমিত করে।
* স্ট্রবেরি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। হৃদপিণ্ডের আরেক উপকারী রাসায়নিক উপাদান পটাশিয়ামও স্ট্রবেরিতে পাওয়া যায়। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং শরীরে সোডিয়ামের প্রভাবকেও নিষ্ক্রিয় করে।
* সূর্য থেকে আসা অতি বেগুনী রশ্মি আমাদের চোখের ক্ষতি করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান চোখের কর্নিয়া ও অক্ষিপটকে শক্তিশালী করে। ফলে ছানি পড়া থেকে চোখ রক্ষা পায়।
* এলাজিক অ্যাসিড ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, এলাজিক অ্যাসিড ক্যান্সারের অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধিকে বাধা দিতে সক্ষম।
* স্ট্রবেরি যে শুধু চর্বি মুক্ত তাই নয়। এতে শর্করা এবং সোডিয়ামের পরিমাণও অনেক কম। তাই এটি শুধু যে ওজন নিয়ন্ত্রণেই ভূমিকা রাখে তাই না, টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
* স্ট্রবেরিতে আঁশের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় এটি খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। এর ফলে দেহ অতিরিক্ত শর্করা শোষণ করতে পারে না।
* স্ট্রবেরিতে ফলেট নামক ভিটামিন বি’য়ের একটি ধরণ উপস্থিত থাকে যা মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্ক, মেরুরজ্জু, মেরুদণ্ড গঠনে সহায়তা করে। তাই যারা গর্ভবতী এবং যারা সন্তান ধারণের চেষ্টা করছেন তাদের খাদ্য তালিকায় স্ট্রবেরি রাখতে পারেন নিঃসন্দেহে।