১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

ডাবের পানির স্বাস্থ্যগত যতগুণ !!!

তৃষ্ণা মিটানোর পাশাপাশি নানা ধরনের উপকারী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই ফলের পানি। আমাদের দেশে সহজলভ্য নারিকেল বা ডাবের পানির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা নেই অনেকেরই।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে নারিকেল পানির পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হয়।
* কম ক্যালোরিঃ প্রচলিত বেশিরভাগ পানীয়তেই প্রচুর ক্যালোরি আর চিনি থাকে। নারিকেলের পানিতে তুলনামূলক কম ক্যালোরি থাকে। যেমনঃ ২৪০ মিলি নারিকেলের পানিতে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালোরি।
* পটাশিয়ামঃ কলার থেকেও বেশি পরিমাণে থাকে। তাই এটি শুধু পানি শূন্যতা পূরণেই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। উল্লেখ্য স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক এমন কি পেশির শক্তি ঠিক রাখার জন্য পটাশিয়াম প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
* খনিজ উপাদানঃ অন্যান্য খনিজের পাশাপাশি নারিকেলের পানিতে থাকে ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার যা আমাদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় খুবই কম পরিমাণে থাকে। দুর্বলতা ও অবসাদের কারণ হতে পারে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব। দাঁত ও হাড় শক্ত রাখতেও ম্যাগনেশিয়াম জরুরি। কপারের অভাবে আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও বিপাক ক্রিয়ার স্বাভাবিক কার্য প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
* তারুণ্য ধরে রাখতে: নারিকেলের পানিতে আছে সেইটোকাইনস যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এ উপাদান ক্যান্সার দমনেও সহায়তা করে। শরীরের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রেখে দেহের বিশেষ সংযোজক টিস্যুগুলোকে মজবুত করে। এমনকি বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকিও কমায় নারিকেলের পানি।
* অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের বিষাক্ত মৌলগুলোকে শোষণ করে। নারিকেলের পানিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এসব মৌলের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করে।
* রোগ প্রতিরোধে সহায়কঃ নারিকেলের পানিতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন থাকে, যেমন রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন ও পাইরিডক্সিন, ফোলেটস ইত্যাদি। তাছাড়া ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধের গুণাগুণ রয়েছে এ পানীয়ের যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
* হজমে সহায়কঃ নারিকেলের পানিতে প্রাকৃতিকভাবেই উপস্থিত থাকে বিশেষ কিছু বায়োঅ্যাক্টিভ এনজাইম যেমন: এসিড ফসফেটেস, ক্যাটালেস, ডিহাইড্রোজেনাস, ডিয়াজটেজ ইত্যাদি। এই উপাদানগুলো হজম ও বিপাকে সহায়ক।
তবে নারিকেলের পানি বের করার পর যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় ততই ভালো। বেশি সময় গেলে বাতাস ও উষ্ণতার কারণে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়।

Comments

comments