১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

মাখনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আপনি অবগত আছেন কি?

বছরের পর বছর যাবত মাখনকে ফ্যাটি ফুড হিসেবে হৃদরোগ ও স্থূলতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। হ্যাঁ, এটি শুধু মুখরোচকই নয় স্বাস্থ্যকর ও বটে।
মাখনের বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। মাখন সরাসরি পাউরুটির সাথে বা স্যান্ডউইচের সাথে খাওয়া যায়। আবার স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকম রান্নায় ও ব্যবহার করা যায়। মাখনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
* খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ 
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্থূলতার সমস্যাটির সাথে ডেইরি প্রোডাক্ট গ্রহণের কোন সম্পর্ক নেই। মাখনে অ্যাক্টিভেটর এক্স নামক যৌগ থাকে যা দেহকে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান শোষণে সাহায্য করে। যখন আমাদের শরীর খনিজ উপাদান গ্রহণ করে তখন তা ক্ষুধা কমতে সাহায্য করে। মাখনে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, লেসিথিন এবং লরিক এসিডের মত কার্যকরী খনিজ উপাদান থাকে।
* মাখনে প্রয়োজনীয় ভিটামিন থাকে
মাখন ভিটামিন সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই থাকে যা ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। আশ্চর্যজনকভাবে মাখনে অনন্য ভিটামিন কে২ থাকে যা চর্বিকে দ্রবণীয় করতে পারে। কে২ ভিটামিন প্রোস্টেট ক্যান্সার, হাড় ভাঙ্গা এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়। মাখন খেলে নারীর উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
* লিনোলেইক এসিড থাকে
মাখনে লিনোলেইক এসিড নামক যৌগ থাকে। এটি শরীরের বিপাকের উপর প্রভাব বিস্তার করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও মাখনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
* স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে
বেশিরভাগ মানুষ মনে করে যে সব ধরণের স্যাচুরেটেড ফ্যাট খারাপ। কিন্তু অনেক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, এদের মধ্যে কিছু আছে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয়ই না বরং অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই স্বাস্থ্যকর সম্পৃক্ত চর্বিগুলো ভালো কোলেস্টেরল HDL এর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই HDL কোলেস্টেরল ব্রেইন ও নার্ভাস সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
* ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিডের ভারসাম্য রক্ষা করে
মাখনে এরাকিডোনিক্স এসিড থাকে যা ব্রেইন ফাংশন, স্কিন হেলথ ও প্রোস্টাগ্লান্ডিনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
* উলজেন ফ্যাক্টর থাকে
হরমোনের মতোই একটি কার্যকরী পদার্থ উলজেন ফ্যাক্টর। এটি জয়েন্টের শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে, সেই সাথে আরথ্রাইটিস ও প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এই উপাদানটি ক্যালসিয়ামকে জয়েন্টের চেয়ে হাড়ে জমা হতে সাহায্য করে। এটি শুধুমাত্র এ্যানিমেল ফ্যাট যেমন- ক্রিম বা দুধে পাওয়া যায়। তবে উলজেন ফ্যাক্টর কাঁচা মাখন এবং ননীতে পাওয়া যায়।
* বিটা ক্যারোটিন
মাখনে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে যা চোখের জন্য ভালো। এটি চোখের সুরক্ষায় অবদান রাখে। এছাড়াও কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে, ছানির গতিরোধ করে, মেকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সুযোগ কমায় এবং চোখের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* সতর্কতাঃ মাখনের এত পুষ্টি উপকারিতা সত্ত্বেও ভুলে গেলে চলবেনা যে এটি মূলত চর্বি জাতীয় খাদ্য। অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।

Comments

comments