ইসলামের দৃষ্টিতে উপযুক্ত বয়স হওয়ার পরও বিয়ে না করা ভয়ংকর অপরাধ !!!
যে চায় দুনিয়া থেকে পূত পবিত্র ও নিষ্কলুষ অবস্থায় কবরে যাবে বিয়ে তার জন্য অপরিহার্য। এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও বলেছেন, ‘যে পূত পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায় সে যেনো স্বাধীনা মেয়েদের বিয়ে করে।’
বিয়ে যে কেবল শারীরিক চাহিদা বা ঈমাণ পূর্ণ করে তাই নয়, পুরুষের ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটায়। সমাজে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে। এজন্য সময়মতো বিয়ে করাকে গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। আর যারা বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার পরও তা করেন না তাদের শয়তানের দলভূক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে!
বিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক সব দৃষ্টিকোণ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে বিয়েকে বলা হয়েছে ঈমানের অর্ধেক। বিয়ের মাধ্যমেই ঈমানের পূর্ণতা পায়। বিয়ে মানব জীবনের অন্যতম চাহিদাও বটে। এ কারণে ব্যক্তি যখন বিয়ের উপযুক্ত হয় তার জন্য বিয়ে ফরজ করেছে ইসলাম। বিয়ে যে কেবল শারীরিক চাহিদা বা ঈমাণ পূর্ণ করে তাই নয়, পুরুষের ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটায়। সমাজে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে। এজন্য সময়মতো বিয়ে করাকে গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। আর যারা বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার পরও তা করেন না তাদের শয়তানের দলভূক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে!
হজরত আবু জর রা. থেকে বর্ণিত। একবার রাসুলুল্লাহ সা. আক্কাফ রা. কে বললেন, হে আক্কাফ! তোমার স্ত্রী আছে? তিনি বলেন, না। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তোমার কি সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে? সে বললো, আমার সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তুমি এখন শয়তানের ভাইদের দলভূক্ত। যদি তুমি খ্রিস্টান হতে তবে তাদের রাহেব (ধর্ম গুরু) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের ধর্মের রীতি। তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যেও নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও। শয়তানের কাছে নারী হলো অস্ত্র। সবাই নারী সংক্রান্ত ফেৎনায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যারা বিয়ে করেছে তারা নারীর ফেৎনা থেকে পবিত্র। নোংড়ামি থেকে মুক্ত। তারপর বলেন, আক্কাফ! তোমার ধ্বংস হোক। তুমি বিয়ে কর নতুবা তুমি পশ্চাৎপদ মানুষের মধ্যে থেকে যাবে। (মুসনাদে আহমদ, জমউল ফাওয়ায়েদ, ইমদাদুল ফাতওয়া খ- ২, পৃষ্ঠা ২৫৯।)
হাদিসে অবিবাহিত স্বাবলম্বী পুরুষকে পশ্চাৎপদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে আমাদের সমাজে এমনটাই দেখা যায়। স্বাবলম্বী পুরুষরা বিয়ে না করার কারণে যৌবনের তাড়নায় লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধে। ব্যভিচারের মতো নিকৃষ্ট কাজে জড়িয়ে পড়তেও দ্বিধা করছে না। অথচ যথা সময়ে বিয়ে রুখতে পারে ভয়ঙ্কর এসব অপরাধকে।
যে চায় দুনিয়া থেকে পূত পবিত্র ও নিষ্কলুষ অবস্থায় কবরে যাবে বিয়ে তার জন্য অপরিহার্য। এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও বলেছেন,
من اراد ان يلقي الله طاهرا مطهرا فليتزوج الحرائر (مشكوة كتاب النكاح
‘যে পূত পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে চায় সে যেনো স্বাধীনা মেয়েদের বিয়ে করে।’
‘বিয়েশাদি চারিত্রিক পবিত্রতা ও শুচিশুভ্রতা রক্ষার অন্যতম মাধ্যম’ কথাটি হাদিসে বড় চমৎকারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসের শব্দের প্রতি লক্ষ্য করলে বোঝা যায়- তাতে চারিত্রিক পবিত্রতা যেমন অর্জন হয়, অন্যান্য গুনাহ থেকেও বেঁচে থাকা যায়। সর্বশেষ হেদায়েত পেয়ে নাজাত পাওয়া যায়।
Related Posts
Comments
comments