১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

মেদ-ভুঁড়ি আর বাড়তি ওজন কমাতে মধুর ডায়েট !!!

মধু নিয়ে মধুর কথা অনেক। তার চেয়েও বেশি প্রচলিত মধুর মধুরতর গুণের কথা। নিয়মিত মধু খেলে সৌন্দর্য বাড়ে এ কথা অনেকেই জানেন, মানেনও। কিন্তু মধু ডায়েটে বা ‘মধুর’ খাবারে বাড়তি মেদ আর ওজনও যে কমে! এ কথা জানেন ​কি?
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, মাত্র তিন সপ্তাহেই আপনি আপনার বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন এই মধু খেয়েই। কোনো জটিলতর চিকিৎসাপদ্ধতির সাহায্যে নয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত স্রেফ বিশুদ্ধ মধু খেয়েই। গবেষণায় এই মধু খাওয়ার বিষয়টিকে হানি বা মধু ডায়েট হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু কী এই হানি বা মধু ডায়েট?
হানি ডায়েটের প্রবক্তা মাইক দেখেছেন, যেসব অ্যাথলেট ফ্রুকটোজসমৃদ্ধ খাবার—যেমন মধু খান, তাঁরা প্রচুর মেদ ঝরাতে সক্ষম হন। পাশাপাশি তাঁদের কর্মক্ষমতা বা কর্মস্পৃহাও বাড়ে অনেক। এর কারণ হিসেবে মাইক বলেছেন, মধু খেলে পাকস্থলী থেকে বাড়তি গ্লুকোজ তৈরি হয়। আর এর কারণে মস্তিষ্কের সুগার লেভেল বেড়ে যায়, যা মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের জন্য রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করে। কাজে কাজেই মেদ কমার সুযোগ তৈরি হয়।
অবশ্য, মধুর উপকারিতা পেতে বা মধুকে কাজ করতে দিতে চাইলে যা করতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে প্রতিদিনের সব ধরনের প্রয়োজনীয় চিনি গ্রহণের পরিবর্তে মধু গ্রহণ। যেমন চায়ে চিনির পরিবর্তে মধু। কিংবা কফিতে এমনকি খাবারেও। অন্তত যেসব খাবারে চিনি প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি যা করতে হবে, সেটা হচ্ছে রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত তিন চা-চামচ মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া।
এই মধু রাতে ঘুমানোর সময় শরীরকে এক সময় মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের নির্দেশ দেবে। আর নির্দেশ দেওয়ার জন্য মস্তিষ্ক তখন রীতিমতো প্রস্তুত। কেননা, সেখানের সুগার লেভেল তখন বেড়ে গেছে মধুর কার্যকারণে।
অবশ্য নিয়মিত মধু খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কাজ করতে হবে আপনাকে; যা আপনি নিশ্চিত আনন্দের সঙ্গেই করবেন। ওজন কমানো বলে কথা।
আর যা করবেন এর মধ্যে রয়েছে—
চিনি কম নয়, চিনি বাদ: আপনার প্রতিদিনের সব শর্করার চাহিদা থেকে চিনিকে বদলে ফেলুন। সেখানে দিন মধু। এর পাশাপাশি কৃত্রিম মিষ্টির উপাদানও বাদ দিতে হবে। চায়ে-কফিতে-খাবারে চিনি বাদ।
আর নয় জাঙ্ক ফুড: বার্গার কি জাঙ্ক ফুড? কিংবা নাগেট? এমনতর হাজারো মুখরোচক খাবার রয়েছে যা আপনার বারোটা বাজাচ্ছে। কোনটা ছাড়বেন, সেটা বড় কথা নয়। মোদ্দা কথা, প্রসেসড বা প্রসেস করা এসব খাবার ছাড়তে হবে।
চালে-গমে খেয়াল রাখবেন: ঝকঝকে চাল, যা থেকে শিউলি-সাদা ভাত হবে; দেখতে ভালো, খেতেও। কিন্তু এটি আপনার রক্তে সমস্যা বাড়াবে। ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়াবে আর শেষ পর্যন্ত মেদ। আটার ক্ষেত্রেও একই কথা কিন্তু! সাদা আটা ছেড়ে লাল আটার দিকেই ঝুঁকতে হবে। এটি স্বাস্থ্যসম্মত। নিরাপদ।
প্রোটিন খান কিন্তু হিসাব করে: খাবারের মধ্যে থাকা প্রোটিন আপনার জন্য দরকার, কিন্তু তা হিসাবমতো। বাড়তি প্রোটিন কখনোই নয়। এ ক্ষেত্রে হিসাব করে খাবার খেলেই মাত্রার মধ্যে প্রোটিন গ্রহণের বিষয়টা নিশ্চিত করা যাবে।
ফল: ফল খাওয়া ভালো। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে অধিকাংশ ফলেই চিনি বা শর্করার মাত্রা অনেক বেশি, যা আপনার মধু ডায়েটের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। ফলাহার হিসাবমতো করলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে ফল একটু কমই খান না হয়।
আলু বাদ: সব ধরনের খাবার থেকে আলু বর্জন বাঞ্ছনীয়। আলু আপনার শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর মধু ডায়েটে আলুটা না হয় নাই-বা খেলেন। মেদ-ওজন এসব কমাতে এই ত্যাগ কোনো মহাত্যাগ নয় কিন্তু। কদিন না হয় ফ্রেঞ্চফ্রাই আর আলুর ভর্তা নাই-বা খেলেন। কদিন না হয় নাই-বা খেলেন চচ্চড়িতে, আলুর ঝোলে ভাত মাখিয়ে।

Comments

comments