রোগ এড়াতে চিনি খেতে সতর্কতা
ইটিং সুগার? নো পাপা… ।
ছেলে বেলার এই কবিতার সঙ্গে যেন সব বাচ্চারই বন্ধুত্ব। চিনি মিশ্রিত মিষ্টি খাবার না হলে বায়নার শেষ থাকে না। বড়দের কাছেও চিনির কদর কম নয়। সচেতনতার কারণে কেউ কেউ চিনি খাওয়া কমিয়ে আনতে পারেন বটে, তবে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা সম্ভব হয় না। চিনির প্রতি সবার এতো আগ্রহ অথচ বাধ সেধে বসলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএইচও(WHO)। মানুষের চিনি খাওয়ার পরিমাণ বা তা থেকে দৈনিক শক্তি যোগানদাতা খাদ্য বা এনার্জি গ্রহণের পরিমাণ দশ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার উপদেশ দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে যে, এই পরিমাণ যদি আরও কমিয়ে পাঁচ শতাংশে আনা যায়, অর্থাৎ দৈনিক চিনি সেবনের মাত্রা প্রায় পঁচিশ গ্রাম বা ছয় চা-চামচের মধ্যে সীমিত রাখা যায় তবে তা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাড়তি সুফল দেবে।
মেডিকেল রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মানব দেহে চিনি গ্রহণের পরিমাণ কমানো সম্ভব হলে ওজন বেশি হওয়া, মোটা হওয়া এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করা সম্ভব হবে। এদিকে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলে, গ্লুকোজ, ফ্রুটকোজ, সুক্রোজ, মধু, সিরাপ, ফলের রস এবং ফলের রসের ঘনীভুত পানীয়কে বিনামূল্যের চিনি হিসাবে অভিহিত করেছে। এগুলো খাওয়ার পরিমাণ কমালে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মতো ব্যাধির বিস্তার কমবে।
এদিকে এ খবরে যখন সারাবিশ্ব নড়েচড়ে বসছে তখন প্রায় ধ্বংসের মুখে বাংলাদেশের চিনি শিল্প। দেশের এই বৃহৎ শিল্পের বর্তমান অবস্থা বেশ নাজুক। দেশে বর্তমানে মোট ১৪ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদার বিপরীতে ২০১৪ সালে ১৬ লাখ টন চিনি আমদানি হয়েছিল। আর এ বছর তা বেড়ে ১৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। এখনো গুদামে পড়ে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার মেট্রিক টন চিনি।
Related Posts
Comments
comments