সিরকার উপকারিতা কি কি ?
রান্না বা রূপচর্চায় অতিপরিচিত নাম সিরকা। এটি অ্যাসিটিক অ্যাসিড ও পানির মিশ্রণে তৈরি। চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে পরিণত করা হয়। বাজারে যেসব সিরকা বা ভিনেগার পাওয়া যায় তার মধ্যে সাদা ভিনেগার, অ্যাপেল সিডার এবং বলস্যামিক ভিনেগার অন্যতম।
আমরা সবাই কমবেশি ভিনেগারের উপকারিতা সম্পর্কে জানি। বেশি কিছু না জানলেও অন্তত এতোটুকু জানি যে, ভিনেগার খুব উপাকারী। এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগারে পেতে পারেন ০.৯ গ্রাম শর্করা, ০.৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। এক টেবিল চামচ বলস্যামিক ভিনেগারে ৩.৭ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩ গ্রাম শর্করা, ৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ১৭.৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম আছে। অপরদিকে এক টেবিল চামচ পরিমাণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে ১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১.২ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ১০.৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম আছে, কোনো প্রকার চর্বি ও আমিষ এখানে নেই। এসব উপাদান আমাদের শরীরের কী উপকার করতে পারে জেনে নিন।
– অ্যাপেল সিডার সিরকা খেলে দ্রুত দেহের ওজন কমে।
– এটি রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ ভিনেগার আধা কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে সকালে রক্তে শর্করা প্রায় ৪ থেকে ৬ শতাংশ কমে।
– অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্রণ ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
– সালাদের সঙ্গে নিয়মিত ভিনেগার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।
– ত্বকের পি এইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে।
– হজমে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ অন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেয়।
– মাথা ধরলে এক টেবিল চামচ সিরকা আর কয়েক ফোঁটা মধু এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। দেখবেন, মাথা ধরা পালিয়েছে।
– মাঝে মাঝে হেঁচকির সমস্যায় ভুগতে পারেন। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কয়েক ফোঁটা সিরকাই যথেষ্ট।
Related Posts
Comments
comments