সঙ্গী হারালে নারীর চেয়ে দুর্ভোগ বেশি পুরুষের !!!
স্বামী কিংবা স্ত্রী- কোনো একজন মারা গেলে স্বাভাবিকভাবেই বিপদে পড়েন অপরজন। ভোগেন সঙ্গী হারানোর দুঃখে। তবে সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে এক্ষেত্রে স্বামী মারা গেলে তুলনামূলকভাবে কম দুঃখ ভোগ করতে হয় নারীদের। অপরদিকে ঠিক বিপরীত অবস্থা পুরুষের। স্ত্রীর মৃত্যুতে অনেক বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাকে।
পুরুষের এ অবস্থার কারণ হিসেবে মনে করা হয়, পারিবারিক জীবনে তারা তাদের সঙ্গীর ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল থাকেন। ইতালির পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে- এতদিন ধরে চলে আসা এই ধারণারও বিপরীত চিত্র বেরিয়ে এসেছে নতুন এই গবেষণায়।
৬৫ বছরের বেশি বয়সী দুই হাজার লোকের ওপর করা গবেষণাটিতে দেখা যায়, বিবাহিতদের স্বাস্থ্য ভালো থাকা লিঙ্গজনিত ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে। পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ক্যাটরিনা ত্রেভিসান জানান, কোনো পুরুষের একটি স্ত্রী থাকা মানে তার ঘরের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা এবং তার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেয়ার মতো একজন মানুষ থাকা।
বিপরীতপক্ষে ঝামেলায় পড়তে হয় বিবাহিত নারীদের। পরিবারের সেবা-যত্নের একটা অতিরিক্ত বোঝা থাকে তার ওপর। ছেলে মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ার পরও দেখা যায় শেষ জীবনে স্বামীর সেবা-শুশ্রুষা করতে হয় তাকে। অবিবাহিত নারীদের জীবন কম ঝামেলাপূর্ণ হওয়ার এটা একটা কারণ।
অপরদিকে যেসব নারী তাদের স্বামী হারিয়েছেন তারা শেষ জীবনে পুরুষের চেয়ে কমপক্ষে চারভাগের একভাগ কম দুঃখে থাকেন। গবেষণায় চিরকুমারীদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তাদের ওজন কমে যাওয়া বা অবসাদের ঝুঁকি বিবাহিত নারীদের চেয়ে কম থাকে।
গবেষকদের মতে, অবিবাহিত নারীরা তাদের চাকরিতেও ভালো অবস্থানে থাকেন। কর্মক্ষেত্রে তাদের স্বক্রিয়তা বেশি থাকে এবং বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে সম্পর্ক বেশি থাকায় সামাজিক বিচ্ছিন্নতাও তাদের কম থাকে। তবে অবিবাহিত অবস্থাটা নারীদের জন্য যতো সুবিধাজনক পুরুষের জন্য ঠিক ততটাই অসুবিধাজনক। সমাজ বিষয়ক অন্য গবেষণাগুলোতেও দেখা যায়, বিয়ে নারীদের চেয়ে পুরুষদের জন্যই বেশি উপকারী।