সাইনোসাইটিস রুখতে করণীয় !!!
নাকের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সাইনাস বা হাড়ের মধ্যকার বায়ুপূর্ণ গহ্বর থাকে। সেখানকার টিস্যুগুলো যখন কোনও ইনফেকশনে বা অন্য কারণে খুব ফুলে যায়, তখনই হয় সাইনোসাইটিসের সমস্যা। ঠাণ্ডা লাগা, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া), নাকের পলিপ, অ্যালার্জি, ভাইরাল-ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনে যখনই নাক ও কপালের সাইনাসের ভিতরের অংশগুলো বন্ধ করে দেয়, তখনই শুরু হয় সমস্যা। এছাড়াও নাকের ড্রেনেজ ডাক্টে কোনো সমস্যা থাকলে বা গঠনগত বিকৃতিও অনেকক্ষেত্রে সাইনাসের সমস্যার জন্ম দেয়। যেকোনো বয়সের মানুষের সাইনোসাইটিসের সমস্যা হতে পারে। বর্তমানে সাইনোসাইটিসে আক্রান্তের পরিমাণও অনেক।
সাইনোসাইটিসে প্রধান সমস্যা হল কপালের সামনের অংশে এবং নাকের পাশের অংশে ব্যথা অনুভূত হয়। মুখে, কপালে ব্যথা বা চাপের অনুভূতি, নাক থেকে ক্রমাগত জল পড়া, কাশি, নাকে কোনও কিছুর গন্ধ না পাওয়া এমনকি সামনের দিকে ঝুঁকলেও ব্যথাটি বাড়ে। সাধারণত সকালের দিকে সাইনোসাইটিসের ব্যথা হয়। বিশেষ ধরনের এ ব্যথাটিই সাইনোসাইটিসের প্রধান লক্ষণ। ব্যথার সঙ্গে জ্বর বা হাঁচি-কাশি, ক্লান্ত লাগা, দাঁতে ব্যথার মতো উপসর্গগুলোও আপনাকে ভোগাতে পারে।
সাইনোসাইটিস রুখতে ধুলাবালিতে অ্যালার্জি থাকলে সাবধান থাকুন। এছাড়া সর্দির সমস্যায় আক্রান্ত হলে, সব সময় নাক সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
সাইনোসাইটিসের সমস্যায় ভুগলে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এভাবে কিছুটা আরাম পাবেন, নাকের বন্ধভাবটাও কেটে যাবে। এছাড়া নাক পরিষ্কার করতে হবে খুব ভালোভাবে। নাকের একপাশের ছিদ্র বন্ধ করে অন্য পাশের ছিদ্র পরিষ্কার করুন। একইভাবে পরিষ্কার করতে হবে নাকের দুই দিকের ছিদ্রই। নাক বন্ধ হলে কখনোই নাকের ভেতরের দিকে বা ওপরের দিকে সর্দি টেনে নেওয়া ঠিক নয়। জ্বর থাকলে খেতে পারেন প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ। তবে ঘরের চিকিৎসায় কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ খেতে হতে পারেন। অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে।