২৯শে ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার

More results...

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

তালমাখনা মিলনের সময় বাড়ায় এছারাও বিভিন্ন কার্যকারিতা।

তালমাখনা মিলনের জন্য কতটা উপকারি

বন্ধুরা আজকে আমরা যানবো মিলনের  এবং শরীলের জন্য কতটা উপকার তালমাখনা। এই তালমাখনা আপনারা যদি সঠিক নিয়মে খেতে পারেন তাহলে আপনারা বিভিন্ন দরনের রোগ, এবং মিলনের অক্ষমতা থেকে মুক্তি পাবেন৷ আপনারা অবশ্যই এই তালমাখনা সঠিক নিয়মে খাবেন।

তালমাখনার উপকারিতা 

এই তালমাখনা আপনারা যদি নিয়ম মেনে খেতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার শরীলে অন্য রকম একটি শক্তি চলে আসবে। তালমাখনা খাওয়ার কারনে আপনার প্রস্রাবের জালা বন্ধ হবে। অনেকের আছে প্রস্রাবের জালা-পোরা করে যার কারনে তাদের প্রস্রাব করতে অনেক কষ্ট হয়। আপনি যদি সঠিক নিয়মে এই তালমাখন খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তালমাখনা খাওয়ার নিয়মটি আমরা পরে যানবো আগে এর উপকার গুলো আমরা যেনে নেই।

কিডনির জন্য তালমাখনা 

বাহিরের ভিবিন্ন খাবার খাওয়ার কারনে আপনার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন দরেন বাহিরের পোরা তেল খেলে আপনার কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে আবার অতিরিক্ত তেল জাতিয় খবার খেলে আপনার কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আপনারা কিডনি ভালো রাখার জন্য খেতে পারেন এই তালমাখনা।

এই তালমাখনা খাওয়ার কারনে আপনার কিডনি অনেকটাই ভালো থাকবে এবং আপনারা যেই খাবারই খাবেন সেই খাবার দেখবেন তারাতারি হজম হয়ে যাবে ৷ তাই আপনারা আপনাদের কিডনি ভালো রাখতে চাইলে এই তালমাখনা সঠিক নিয়মে খেতে পারেন।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD

গেস্ট্রিকের জন্য তালমাখনা 

বর্তমান আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই গেস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। এই গেস্ট্রিকের থেকে আপনাদের দেখবেন বুকের ভিতর জালা-পোরা করবে আবার দেখবেন আপনার পেট ফুলে থাকবে, এই পেট ফুলে থাকার কারনে ঠিক মতো খেতে পারবেন না। আরো অনেক রকমের সমস্যায় পরতে হবে আপনাদের এই গেস্ট্রিকের জন্য।

অনেকেই আছে গেস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে গেস্ট্রিকের টেবলেট খেয়ে নেয় যার দারা কিছু সময় গেস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পায় এবং  গেস্ট্রিকের টেবলেট খেতে খেতে এক সময় আর ঔষদও কাজ করে না।  তাই আপনারা যদি সব সময়র জন্য  গেস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে তালমাখনা খেতে হবে আপনাদের। আপনি যদি তালমাখনা খান তাহলে সব সময়ের জন্য গেস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷

তালমাখনা শরীলেন দূর্বলতা কমায় :

শরীলের দূর্বলতার কারনে কাজ করতে পারেন না আবার অনেকে এই শরীল দূর্বলতার কারনে সারাদিন ঘড়েই বসে থাকেন, আপনি এই তালমাখনা খেলে আপনার সরীলের দূর্বলতা দেখবেন কিছুটা কমে এসেছে।

কিন্তুু আপনাদের তালমাখনার সাথে গরুর দুধ খেতে হবে তাহলে শরীল দূর্বলতা তারাতারি কমে যাবে। গরুর দুধ রাতে খাবেন আর তালমাখনা আপনারা সকালে খেয়ে নিবেন।

তালমাখনার দাম: এই তালমাখনার বর্তমান দাম রয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। কিন্তুু আপনারা ১ কেজি একসাথে কিনবেন না আপনারা ২৫০ গ্রাম তালমাখনা কিনে খেতে থাকবেন। আর যদি দোকান সামনে হয় তাহলে আপনারা ২০ টাকা করে কিনে খেতে পারেন। এক সাথে অনেক গুলো তালমাখনা না কিনাটাই ভালো।

তালমাখনার উপকার মিলনের সময় জন্য

অনেকেই আছে মিলনের করতে পারে না ঠিক মতো মিলনের  করতে গেলে অল্প সময়ের ভিতর বি*র্য বের হয়ে যায় তাই আপনারা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন তালমাখনা খাওয়ার জন্য। এই তালমাখনা প্রতিদিন খেলে আপনারা দেখবেন মিলনের অক্ষমতা দূর হয়ে গেছে আপনি  ২০ থেকে ২৫ মিনিট দরে মিলনের করত পারবেন।

অনেকেই আছে মিলনের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিবিন্ন রকমের টেবলেট খায় কিন্তুু এই কাজ ভুলেও করবেন না আপনি যদি ভুল কোন টেবলেট খান তাহলে কিন্তুু আপনি আরো সমস্যায় পরতে পারেন কারন ভুল   টেবলেট খাওয়ার কারনে কিছুদিন আপনি দীর্ঘসময় দরে মিলনের করতে পারবেন তারপর আস্তে আস্তে দেখবেন শরীল দূর্বল লাগবে আর এই শরীল দূর্বলতার কারনে আরো মিলনের করতে পারবেন না। সহবাসের প্রতি এমন অক্ষমতা হবেন সেই অক্ষমতা আর দূর হবে না।

তালমাখনার পাউডার 

তাই আপনার কোন ঔষদ আর টেবলেট না খেয়ে এই তালমাখনে খেয়ে নিবেন, আপনার যদি এই তালমাখনা খেতে না ভালো লাগে তাহলে আপনারা তালমাখনার পাউডার খেতে পারেন। এই তালমাখনার পাউডার আপনারা চাইলে ডাক্তারের দোকান থেকে নিতে পারেন। বর্তমান এই তালমাখনার পাউডার ভিবিন্ন ডাক্তারের দোকানে পাওয়া যায়, তাই আপনারা সেইখান থেকে নিতে পারেন এই তালমাখনার পাউডার।

আর আপনি যদি তালমাখনার পাউডার না পান তাহলে আপনাকে তালমাখনাই খেতে হবে। তালমাখনা আর তালমাখনার পাউডারের উপকার একই কিন্তুু অনেকের এই তালমাখনা খেত ভালো লাগে না যার কারনে তারা তালমাখনার পাউডার খেতে পাররেন।

তালমাখনা বী*র্য গারো করে

অনেকের দেখা যায় বী*র্য পানির মতো। আপনি চাইলে আপনার বী*র্য গারো করতে পারেন কারন আপনার বী*র্য যদি গারো হয় তাহলে আপনার স্ত্রী খুব সহজেই গর্বপাত করতে পারে। অনেক সময় বী*র্য গারো না হলে স্ত্রীর বাচ্চা হয় না।  তাই আপনারা এই বী*র্য খুব সহজেই গারো করতে পারেন কারন এই বী*র্য গারো হলে আপনার বাচ্চাও দেখবেন পুষ্টিকর হবে।

হরমনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে তালমাখনা   

মেয়েরা যদি এই তালমাখনা খায় তাহলে তাদের শরীলের দূর্বলতা কমবে এবং তাদের শরীলের হরমন বৃদ্ধি করে। অনেক মেয়ের দেখবেন হরমনের সমস্যা রয়েছে আর এই হরমনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাদের স্ত্রীকে এই তালমাখনা খাওয়াতে হবে।

আপনার স্ত্রীর যদি হরমনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে দেখবেন তার সহবাসের ইচ্ছা কমে যাবে এবং সহবাসের পর আপনার স্ত্রীর শরীল অনেক দূর্বল হয়ে যাবে তাই আপনার স্ত্রীর হরমন বৃদ্ধি করার জন্য খেতে পারেন এই তালমাখনা।

এই হরমনের সমস্যায় সুদু মেয়েরাই পরে না ছেলেদের ও হরমনের সমস্যায় পরতে হয়। ছেলেরা এই হরমনের সমস্যার জন্য খেতে পারে তালমাখনা।

এক গবেষনায় বলা হয়েছে এই তালমাখনা মানব দেহের শরীল চলমান রাখতে অনেক সাহায্য করে।  আপনারা চাইলে এই তালমাখনা প্রতিদিন খেতে পারেন এর উপকার আমরা সবাই জানলাম এটা কতটা উপকার মানব দেহের জন্য। তাই বন্ধুরা আমরা সবাই চেষ্টা করবেন এই তালমাখনা খাওয়ার জন্য।

তালমাখনা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

এই তালমাখনা খাওয়ার সঠিক নিয়ম আমরা অনেকেই জানি না কিন্তুু আপনাকে অবশ্যই এই তালমাখনা সঠিক নিয়মে খেতে হবে কারন সঠিক নিয়মে এই তালমাখনা খেলেই আপনি উপকার গুলো পাবেন। এই তালমাখনা আপনারা প্রতিদিন সকালে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা এই তালমাখনা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো বিজিয়ে রাখবেন। আপনারা যখন ১৫ থেকে ২০ মিনিট বিজিয়ে রাখবেন তখন দেখবেন তালমাখনা কিছুটা বড় হবে আর কিছু ফুলে উঠবে তখন বিজিয়ে রাখা পানি সহ তালমাখনা খেয়ে নিবেন।

আপনারা যদি খালি পেটে এই তালমাখনা না খান তাহলে কিন্তুু বেশি উপকার পাবেন না। তাই আপনারা অবশ্যই এই তালমাখনা খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেটা আপনার শরীলের সব দরনের উপকার করবে।

তালমাখনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সবশেষে আপনাদের কিছু কথা বলে দেই এই তালমাখনা দানা সবাই খেতে পারবে। এই তালমাখনা আপনার গর্বপ্রতি স্ত্রীকে খাওয়াতে পারেন আপনি যদি আপনার গর্বপ্রতি স্ত্রীকে এই তালমাখনা খাওয়ান তাহলে দেখবেন আপনার স্ত্রী সুস্থ থাকবে এবং তার পেটের বাচ্চাও সুস্থ থাকবে।

আপনি আপনার ছোট বাচ্চাকেও খাওয়াতে পারেন এই তালমাখনা তাহলে আপনার ছেলের হরমনের সমস্যা দেখা দিবে না এবং তার জ্ঞান বৃদ্ধি দেখবেন অনেকটা ভালো হবে। বাচ্চাদের জন্যও এই তালমাখনা অনেকটা উপকারি। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন আপনাদের বাচ্চাদের ও এটা খাওয়ানোর জন্য।

 

 

জেনে নেই তালমাখনা সম্পর্কিত কিছু মূল্যবান তথ্য

  • প্রচলিত নামঃ কুলেখাড়া
  • ইউনানী নামঃ তালমাখনা
  • আয়ুর্বেদিক নামঃ কোকিলাক্ষা
  • ইংরেজি নাম: Star Thorn
  • বৈজ্ঞানিক নামঃ Hygrophyla auriculata (Sch.) Heyne
  • বৈজ্ঞানিক পরিবারঃ Acanthaceae

তালমাখনার রাসায়নিক উপাদানঃ ভূ-উপরিস্থ অংশে অ্যালকালয়েড, ফাইটোস্টেরল, স্টিগমাস্টেরল, লুপিয়ল, উদ্বায়ী তেল ও হাইড্রোকার্বন; ফুলে এপিজেনিন এবং বিচিতে তেল ও এনজাইম বিদ্যমান।

ব্যবহার্য অংশঃ কুলেখাড়া বীজ।

তালমাখনা এর উপকারিতা ও ভেষজ গুণাবলি

  • তালমাখনা গুনাগুনঃ পুষ্টিকারক, শুক্রবর্ধক, প্রফুল্লতা আনয়নকারক। লিউকোরিয়া, শুক্রমেহ, যৌনদুর্বলতা ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায়।
  • তালমাখনার বিশেষ কার্যকারিতাঃ হজমকারক, বায়ু নিঃসারক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক।

বিশেষ রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতি

  • রোগ: দেহের পুষ্টি সাধন ও সাধারন দুর্বলতা
    ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
    মাত্রাঃ ৩ গ্রাম
    ব্যবহার পদ্ধতিঃ তালমাখনা বীজ চূর্ণের সাথে ১ গ্রাম পরিমাণ শতমূলী চূর্ণ মিশিয়ে দুধসহ প্রত্যহ সকালে খালিপেটে এবং রাত্রে শয়নকালে সেব্য।
  • রোগ: শুক্রমেহ ও লিউকোরিয়া
    ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
    মাত্রাঃ ৩ গ্রাম
    ব্যবহার পদ্ধতিঃ চূর্ণের সাথে ১ গ্রাম পরিমাণ তেঁতুল বীজ চূর্ন মিশিয়ে প্রত্যহ ২ বার দুধসহ সেব্য।
  • রোগ: যৌন ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা
    ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
    মাত্রাঃ ৩ গ্রাম
    ব্যবহার পদ্ধতিঃ চূর্ণের সাথে ১ গ্রাম পরিমাণ অশ্বগন্ধা চূর্ণ ও ৩ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রত্যহ ২ বার সেব্য।

সেবনের ক্ষেত্রে থাকতে হবে সতর্ক

তালমাখনা নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক সেবন করা সমীচীন নয়। কারণ, এতে পেটে বায়ু হতে পারে।

সুতরাং আমরা তালমাখনার উপকারিতা, ভেষজ গুনাবলি, ও তালমাখনা সম্পর্কে কিছু মূল্যবান তথ্য জানলাম যা আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

Comments

comments