সারাদিন অফিসে থেকেও ওজন কমাতে চাইলে যা করবেন…
দিনের পুরোটা সময় অফিস করতে হলে শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখা কষ্টকর। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ে।
জীবনযাপনে কিছু সহজ এবং স্মার্ট পরিবর্তন এনে নিজেকে একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি করে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ফুল টাইম চাকরি কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়।
আসুন এ বিষয়ে জেনে নেই-
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
প্রথমে খাবারের তালিকা নির্ধারণ করুন
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের ডায়েট চার্টগুলো কাজ করার মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো, তারা আপনার খাবারের পরিকল্পনা আগে থেকে ঠিক করে দেয়। প্রধান খাবার ও হালকা নাস্তায় কী থাকবে তা আগে থেকে ঠিক করা থাকলে অস্বাস্থ্যকর নাস্তা ও ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। আপনার প্রিয় ফাস্ট ফুড খাওয়ার জন্য সপ্তাহে একটি চিট ডে নির্ধারণ করতে পারেন। অর্থ সাশ্রয়, সময় বাঁচানো এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া- সবদিকেই আপনার নজর রাখতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর নাস্তা নয়
যদি মনে করেন যে ব্যাগে থাকা চিপসের প্যাকেটটি পরবর্তী আধা ঘণ্টা কাজ করার জন্য আপনাকে শক্তি দেবে, তাহলে ভুল করছেন। এটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তাই এ ধরনের অভ্যাস ভাঙতে হবে। আপনি যদি অফিসে থাকাকালীন একটু পরপর নাস্তা খেতে থাকেন তবে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে।
চকোলেট ও ক্যান্ডিতে পূর্ণ ড্রয়ারটি আপনার কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে, তবে এটি আপনার কোমরের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দেবে। দিনের বেলা নাস্তা হিসেবে বাদাম, ফল, দইয়ের মতো স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাবেন।
অতিরিক্ত ক্যালোরি নয়
অনেকেই আছেন যারা কফি ছাড়া কাজে মনোযোগী হতে পারেন না। আপনিও যদি তাদের দলে হন তবে আপনার জন্য ওজন কমানো কঠিন হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত কফি বা চা পান করলে তা অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করতে পারে। এই পানীয়গুলোর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এতে চিনি যোগ করা। এককাপ মিষ্টি কফিতে প্রায় একশো ক্যালোরি থাকে। আপনি যদি দিনে ৩-৪ কাপ কফি পান করেন তবে তা আপনার ক্যালোরির চাহিদার চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। তাই চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করার অভ্যাস করুন।
দৈনন্দিন কার্যকলাপ বাড়ান
যদি অফিসে যাতায়াত করতে সময় লাগে এবং দিনে আট ঘণ্টা ডেস্কে কাজ করেন, তাহলে ব্যায়ামের জন্য সময় খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হতে পারে। একটি উপায় হলো জিমে যোগদান করা বা সকালে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা। যদি কোনোটাই সম্ভব না হয় তবে আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপ বৃদ্ধি করুন এবং দিনের বেলা যতটা সম্ভব হাঁটার চেষ্টা করুন। অফিসে যাওয়া-আসা করার সময় যতটুকু পথ সম্ভব হাঁটার চেষ্টা করুন এবং লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।