স্বামী কথা শুনতে না চাইলে যা করবেন!
বিবাহিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে অভিযোগ শোনা যায় তা হলো, স্বামী তার কথা শুনতে চায় না। এটি প্রায় সবারই জানা যে, স্বামীকে কথা শোনানো কতটা কঠিন। তার সঙ্গে কোনো কথোপকথন শুরু করার পর তা যুদ্ধ মোকাবিলা করার মতো কঠিন মনে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার স্বামীর ধৈর্য ধরে আপনার কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের কথাগুলো স্বামীকে কীভাবে শোনাতে পারেন তার আছে সহজ কিছু উপায়। এতে ঝগড়াঝাটি ছাড়াই সুন্দর একটি সমাধানে আসা সম্ভব হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভালোবাসা প্রকাশ করুন
আপনার প্রয়োজনগুলো তাকে বলা শুরু করার আগে তাকে আপনার প্রতি মনোযোগী করে নিতে হবে। এর অন্যতম উপায় হলো তার প্রতি আপনার প্রেমকে আরও বেশি আবেগের সঙ্গে প্রকাশ করা। মিষ্টি করে কথা বলুন এবং তার প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করুন। এতে তিনি আপনার প্রতি মনোযোগী হবেন। তখন আপনার কথাগুলো শোনানো সহজ হবে।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
সঠিক সময় বেছে নিন
কোন কথা কোথায় বলা যাবে তা ভেবে নিন। যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কথা বলা শুরু করবেন না। স্বামীর সঙ্গে কথোপকথন শুরু করার জন্য আপনার উপযুক্ত সময় এবং স্থান খুঁজে বের করুন। এই ভুল অনেক নারীই করেন, পরিস্থিতি উপেক্ষা করে এবং ব্যস্ত থাকলেও তাদের বিরক্ত করা শুরু করেন। এমন হলে স্বামীর সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে। তাই কথা বলার জন্য সঠিক সময় বেছে নিন।
সরাসরি কথা বলুন
আপনার স্বামী যদি আপনার সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে আলোচনায় বিলম্ব করার কোনো মানে নেই। সরাসরি কথায় চলে যান। আপনি যদি সহজ এবং সাবলীল হন তবে আপনার স্বামী তার প্রশংসা করবে। আপনি যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন এবং তার কাছ থেকে আপনার কী প্রত্যাশা রয়েছে তা পরিষ্কার করে বলুন।
বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক রাখুন
স্বামীর সামনে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ভয়ঙ্কর করতে যাবেন না। নমনীয় ভাষায় কথা বলুন। কারণ তার সঙ্গে রাগন্বিত স্বরে কথা বলতে গেলে তিনি আপনার কথা শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। তার পাশে বসে শান্ত স্বরে, মিষ্টি এবং উষ্ণ ভাষায় কথা বলুন। এতে তিনিও নমনীয় হবেন এবং আপনার কথার প্রতি মনোযোগী হবেন।
সহজ থাকুন
মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র আপনার দৃষ্টিভঙ্গি নয়, আপনার স্বামীর মতামতও এই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ। তার দাবি ও চাওয়া শুনুন এবং তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করুন। শুধু আপনার চাহিদা চাপিয়ে দেওয়া স্বার্থপরতার লক্ষণ। কারণ দাম্পত্য সম্পর্ক তখনই সুন্দর হয়ে ওঠে যখন স্বামী-স্ত্রী সমানভাবে একে অপরের ইচ্ছা পূরণ করে।