৩০শে ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

More results...

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

রমজানে সুস্থ থাকার ৫ উপায়

আর একদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। মুসলমানরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। গণমাধ্যমও ছাপছে নানা ধরনের লেখা। কানাডার সংবাদ মাধ্যম সিবিসিতে রমজানে সুস্থ থাকার উপায় নিয়ে লিখেছেন সেদেশের একজন স্বাস্থ্যকর্মী ওমর ইমতিয়াজ।

দুবাই বংশোদ্ভুত ওমর ২০০৭ সালে কানাডায় জীববিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে পড়তে যান। বর্তমানে কানাডার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের  প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপের শহর বেলফাস্ট এর জন গিলিস মেমোরিয়াল লজ-এ ব্যাক্তিগত সহায়তা কর্মী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপের মুসলিম কমিউনিটির একজন সক্রিয় সদস্য ওমর। এছাড়া তিনি কানাডার ক্যান্সার এবং হার্ট ও স্ট্রোক ফাউন্ডেশনের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ করেন।

রমজানে মুসলমানরা সব ধরনের ইহজাগতিক ভোগ-বিলাস থেকে বিরত হয়ে আল্লাহর সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন। যে কারণে তারা রমজান মাসের প্রতিটি দিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো পানাহার করেন না।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD

সারাদিন কোনো দানাপানি না খেয়েও পুরোপুরি সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এখানে রইলো ওমরের অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত এমন পাঁচটি নিয়মের কথা।

১. রাতে পানি সঙ্গে রাখুন
সুস্থ থাকার জন্য শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখা খুবই জরুরি। সুতরাং সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার পর থেকে হাতে একটি পানির বোতল রাখুন। এবং কিছুক্ষণ পরপর পানি পান করুন। হাতের কাছে সবসময় একটা বোতল রাখলে পানি পান করার কথা মনে পড়বে বারবার।

২. অতিভোজন নয়
অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে তাদের ওজন কমে যাবে। আর এই ভয়ে তারা রাতের বেলায় অতিভোজন করেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে রোজা রাখার কারণে তাদের ওজন কমে না। এর ফলে দেখা যায় যে রোজার পর তাদের ওজন বরং আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সুতরাং ওজন কমার ভয়ে বেশি করে খাবার খাবেন না।

৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
রমজানে ইফতারের সময় অনেকেরই ভাজা-পোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এসব খাবারে থাকে উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম। যা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। সুতরাং এসব খাবার এড়িয়ে বরং ফল-মূল ও পেট ঠাণ্ডা রাখবে এমন খাবার খেতে হবে।

আর সেহরির সময় কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিন। এতে দিনে না খেয়ে থাকার ফলে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানোর মতো যে সমস্যা দেখা দেয় তা এড়ানো যাবে।

৪. ২০ মিনিট হাটুন
রোজা রেখেছেন বলে ব্যায়াম করা বাদ দেওয় যাবে না। বরং প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট করে হলেও ব্যায়াম করুন। তাহলে আর রোগ বালাই ধারে কাছে ঘেষতে পারবে না।

৫. দুপুরের পর একটু ঘুমান
রোজার সময় প্রতিদিন দুপুরের পরে একটু ঘুমিয়ে নিন। তাহলে আর রোজার ক্লান্তিতে আপনার শরীর ভেঙে পড়বে না। জোহরের নামাজের পর থেকে আছরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়টি দিবানিদ্রার সবচেয়ে ভালো সময়।

Comments

comments