শতমূল এর বিভিন্ন উপকারিতা এবং গুনাগুন!
শতমূল লতাজাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত অন্য গাছ বা খুটিতে ভর করে আকাবাকা হয়ে বেড়ে উঠে। এর লতার বাকানো কাটা থাকে। শরৎকালে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে এর মূল হয়। মাঘ ফাল্গুনে ফল পাকে। কাচা অবস্থায় ফল সবুজ হয় । পাকলে লাল দেখায়। এই উদ্ভিদের গোড়ায় একগুচ্ছ মূল হয়, এ মূলকে শতমূল বা শতমূলী বলে।
অনেকে শোভা বৃদ্ধির জন্য শখ করে বাড়ির সামনে বাগানে ফুল গাছের সাথে শতমূলী গাছ লাগিয়ে থাকেন । সাধারণত উঞ্চ ও নাতিশীতোঞ্চ পরিবেশ শতমূলী গাছ ভালো জন্মে। তবে দো আশ ও বেলে মাটিতে অত্যধিক হয়ে থাকে।
শত মূলের গুন এর মধ্যে কয়েকটি নিম্নে হলো :
স্নায়ুশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক দুর্বলতা :
শতমূলীর রস কাচা ১৫-২০ মিলি. (৩-৪ চামচ) এক গ্লাস পরিমাণ দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল ও বিকেলে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে উল্লিখিত নিয়মে ১০-১৫ দিন সেবন করে যাওয়া উচিত।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
শুক্রমেহ ও স্বপ্নদোষ প্রশমনে :
১০ গ্রাম পরিমাণ শতমূলী চূর্ণ প্রত্যহ দুধসহ দুবার সেবন করলে ফল পাওয়া যায়। উল্লিখিত নিয়মে এক মাস সেবন করে যাওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: অশ্বগন্ধার সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন – যৌবনে ভাটা পড়ার আগেই!
আরো পড়ুন: লাগাম ছাড়া যৌন চাহিদা কি কোনও মানসিক ব্যধি?
স্তন্য দুগ্ধ বৃদ্ধিতে :
৫ গ্রাম পরিমাণ শতমূলী চূর্ণ্ ও ৫ গ্রাম পরিমাণ অর্শ্বগন্ধ চূর্ণ একত্রে মিশিয়ে প্রত্যহ দুবার সেবন করতে হবে । উল্লিখিত নিয়মে ৫-৭ দিন সেবন করতে হবে।
রক্ত স্বল্পতায় :
শতমূলীর রস ১৫-২০ ফোটা ৩-৪ চামচ এক গ্লাস পরিমাণ ডাবের পানির সাথে মিশিয়ে প্রত্যহ দুবার সেবন করতে হবে। উল্লিখিত নিয়মে ৫-৭ দিন সেবন করতে হয়।
এছাড়াও শতমূলী উচ্চরক্তচাপ কমায়। এসিডিটি, দুর্বলতা, যেকোনো ধরনের ব্যাথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, দূর করে। শরীরের নানা ধরনের প্রদাহ , পাইলস, সারিয়ে তোলে। চোখ ও রক্তের যেকোন সমস্যা দূর করে। নার্ভের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। শতমূলীর শিকড় লিভার, লিভার, কিডনি, ও গনোরিয়ার জন্য উপকারি। যাদের বদহজমের সমস্যা রয়েছে তারা শতমূলীর শিকড় রস করে তাতে মধু মিশিয়ে খান, উপকার পাবেন।