১৩ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, বুধবার

More results...

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

সোনায় মোড়া খাবার! দাম কত জানেন?

টাকা থাকলে পাওয়া যায় সোনায় মোড়া খাবার।
আমেরিকার এক রেস্টুরেন্ট সোনায় মোড়ানো ফ্রায়েড চিকেন বিক্রি শুরু করেছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? নিউ ইয়র্কের এই রেস্টুরেন্ট ২৪-ক্যারেট সোনার ম্যরিনেড ডোবানো এই ভাজা মুরগি ১০০০ ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮৪ হাজার ৬৩২ টাকা) দামে বিক্রি করছে।

এই ফ্রায়েড চিকেনের ধারণাটি এসেছে জনাথান চেবান, ওরফে ‘ফুডগড’-এর কাছ থেকে। এ নিয়ে তিনি ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেছেন যা ভাইরাল হয়েছে।

যেভাবে ভাজা হয় সোনালি মুরগি
প্রথমে মুরগির টুকরো নোনা পানিতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা হয়। পরে ঘরে তৈরি ড্রাই রাবে টুকরোগুলোকে ডুবো তেলে ভাজা হয়।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD

এরপর মধু এবং বারবিকিউ সসে তৈরি ম্যারিনেডে ডুবিয়ে আরেক দফা ভাজার আগে সোনার গুড়ো দিয়ে মুরগির টুকরোগুলোর ঢেকে ফেলা হয়।

আপনি যদি ১০০০ ডলার খরচ করতে রাজি থাকেন তাহলে আপনি পাবেন ৫০ টুকরো ফ্রায়েড চিকেন। সাথে থাকবে পপ স্টার জেযি’র লেবেল লাগানো এক বোতল সোনালি শ্যাম্পেন।

ইউটিউবার কেসি নিস্টাট চেখে দেখেছেন। তিনি বলছেন, ‘ফ্রায়েড চিকেনের স্বাদে কিছুটা টক ভাব রয়েছে এবং একটা ধাতব স্বাদ পাওয়া যায়।”

তার কো-হোস্ট শন্ বলছেন, তিনি কোনমতেই এই সোনায় ভাজা মুরগির কথা ভাবতে পারছেন না।

“চিকেন উইঙ্গস হচ্ছে সাধারণ মানুষের খাবার। তাই পুরো ধারণাটাই উদ্ভট,” বলছেন তিনি।

কিন্তু আপনি যদি মনে করেন এই প্রথমবার ফাস্ট ফুড নিয়ে কেউ এমনটা করছেন তাহলে কিন্তু ভুল করবেন।

সোনালি ডোনাট

গত ২০১৬ সালে ব্রুকলিনের উইলিয়ামস্‌বার্গ এলাকায় একটি ফিলিপিনো রেস্টুরেন্ট সোনার ডোনাট বিক্রি শুরু করেছিল। নাম ছিল ‘গোল্ডেন ক্রিস্টাল উবে ডোনাট”।

এই ডোনাটের মধ্যে যে উবে মুস ঢোকানো হতো তা তৈরি হতো বেগুনি রঙের মিষ্টি আলু থেকে।

আর এর দাম? এক ডজন স্বর্ণময় ডোনাটের দাম ধরা হয়েছিল ১২০০ ডলার।

সোনায় মোড়া আইসক্রিম

চলতি বছরের গোড়াতে একটি আমেরিকান আইসক্রিম কোম্পানি এমন এক আইসক্রিম বিক্রি শুরু করে যা মোড়া থাকতো ২৪-ক্যারেট নির্ভেজাল সোনার তবকে।

ভারতীয় উপমহাদেশে বিলাসী পানে সোনা বা রুপোর তৈরি পাতলা পাতা বা তবক ব্যবহারের চল রয়েছে।

এই আইসক্রিমের দাম ধরা হয়েছিল ১৫ ডলার – ফ্রায়েড চিকেন কিংবা ডোনাটের তুলনায় যার দাম কম বলেই মনে হতে পারে।

নিউ ইয়র্কের আরেকটি রেস্টুরেন্ট ২০০০ ডলার দামের এই পিৎসা বিক্রি শুরু করে। এই পিৎসার উপরে ২৪-ক্যারেট সোনার টপিংস ছড়ানো হয়েছিল।

কিন্তু এই পিৎসার সোনালি টপিংসের নিচেও যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয় তা ছিল রাজকীয়। ব্রিটেন থেকে বিশেষভাবে আমদানি করা স্টিলটন চিজ, ফোয়া গ্রা এবং ব্ল্যাক ট্রাফল।

সে সময় এই রেস্টুরেন্টের মালিক ব্রলিও বনেই এক পত্রিকাকে বলেছিলেন, সে সময় একে বিলাসিতার চূড়ান্ত বলে মনে হলেও পিৎসা বলেই লোকে খাবারটি পছন্দ করেছিল।

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল কি আসলেই অনিরাপদ?

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল বাজারজাত ও বিক্রি করায় বাংলাদেশে গত কয়েক দিন বেশ কয়েকজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব ফল খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে, এমন কারণ দেখিয়ে নষ্ট করা হয় কয়েক হাজার মণ আম।

কিন্তু রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল কি সত্যিই অনিরাপদ?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের পরিচালক নাজমা শাহীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসারে নির্দিষ্ট রাসায়নিক ব্যবহার করে ফল পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়।

মিজ. শাহীন বলেন, “ইথোফেন ব্যবহার করে ফল পাকালে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না। এটি একধরণের গ্যাস যা ফলের ভেতরের এনজাইমকে প্রভাবিত করে যার ফলে দ্রুতবেগে ফল পাকে।”

শাহীন বলেন, উন্নত বিশ্বে বর্তমানে ইথোফেন চেম্বারে ফল রাখা হয়। সেই ফল বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে নেয়ার পথে সাধারনত পেকে যায় ও খাওয়ার উপযোগী হয়।

মিজ. শাহীন জানান সাধারণত ইথোফেন ব্যবহার করার নির্দিষ্ট মাত্রা ও সময়সীমা নির্ধারন করা থাকে। তবে আম ও কলার ক্ষেত্রে ইথোফেন ব্যবহারে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না।

“ক্রেতার হাতে যখন ফল যায় ততক্ষণে এই রাসায়নিক গ্যাস উড়ে যায়, আর যদি এর প্রভাব থাকে, তাতেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কারণ ফলের খোসা ছাড়িয়ে ভেতরে রাসায়নিকের প্রভাব যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। আর আমরা সাধারণত আম ও কলার খোসা খাই না,” বলেন তিনি।

রাসায়নিক দিয়ে পাকানোর অভিযোগে গত কয়েকদিনে প্রায় কয়েক হাজার মণ আম নষ্ট করা হয়
মিজ. শাহীন বলেন, স্বাভাবিকভাবে পাকানো আমের যে স্বাদ বা গন্ধ বা অন্যান্য গুণাবলী থাকে, রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো ফলের গুণাবলী সেই একই মানের হবে না।

তবে ইথোফেন দিয়ে পাকানো আম শতভাগ নিরাপদ বলে নিশ্চিত করেন শাহীন।

একই নিশ্চয়তা দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হকও।

বাংলাদেশের আইনে ফলে কার্বাইড ব্যবহার করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইথোফেন ব্যবহার আইনানুযায়ী সিদ্ধ বলে জানান মি.হক।

হক জানান, কার্বাইড দিয়ে ফল পাকালে আর্সেনিক বা ফসফরাসের অবশিষ্টাংশ ফলে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এজন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ফল পাকানোর কাজে কার্বাইড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ফল পাকানোতে ইথোফেন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ ও আইনসিদ্ধ।

তবে ঢাকার পাইকারি বাজারে ফলে রাসায়নিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো একটি দলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, ইথোফেন ব্যবহারের বিষয়ে দুই ধরনের বৈজ্ঞানিক মতবাদ রয়েছে। একটি অনুযায়ী ইথোফেন খুব বেশি ক্ষতিকর নয়, অপরটি মনে করে ইথোফেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

ইথোফেন ব্যবহার আইনগতভাবে বৈধ হলেও ফলে কি পরিমাণ ইথোফেন ব্যবহার করা যাবে সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই বলেও জানান আলম।

ফলে ব্যবহৃত রাসায়নিকের পরিমাণ ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে বেশী কিনা সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক।

Comments

comments